কাপাসিয়ায় নারী লোভী তান্ত্রিকের একাধিক বিয়ে, যৌতুক না পেলে ডিভোর্সের অভিযোগ

0
5

কাপাসিয়ায় নারী লোভী তান্ত্রিকের একাধিক বিয়ে, যৌতুক না পেলে ডিভোর্সের অভিযোগ

মাহাবুর রহমান, কাপাসিয়া: যৌতুকের টাকা দিতে অপারগ হওয়ায় গোপনে ডিভোর্স দিয়ে জোরপূর্বক বাড়ি থেকে বেড় করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক প্রতারক তান্ত্রিক কবিরাজের বিরুদ্ধে। সুন্দরী নারীদের টার্গেট করে তন্ত্রমন্ত্রে বশ করে একাধিক বিয়ে করে টাকা হাতানোই তার মূল কবিরাজি জানায় ডিভোর্সি নারী।

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার রায়েদ ইউনিয়নের বেলাশি উত্তরপাড়া এলাকায় গেলে এমন ঘটনার বিবরণ দেন এলাকাবাসী। অভিযুক্ত নারী লোভী তান্ত্রিক কবিরাজ ওমর ফারুক ওই এলাকার নূরুল ইসলামের একমাত্র ছেলে।

সরেজমিন জানাযায়, ফারুক তন্ত্রমতে একাধিক নারীকে বশে এনে বিয়ে করে চাহিদা অনুযায়ী যৌতুকের টাকা না পেলে ডিভোর্স দিয়ে অন্য বিয়ের জোগাড় করেন।এপর্যন্ত ফারুক বার নারীর সাথে বধূৎসব পালন করেছেন। কোনো বধূই বেশি দিন সংসার করতে পারেনি। সর্বশেষ ছনিয়াকে চার বছর আগে কাবিন রেজিস্টারি না করেই গোপনে বিয়ে করে। ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হলে স্থানীয়দের চাপে পরে সামাজিক ভাবে চার লাখ টাকা কাবিন ধার্য্য করে রেজিস্টারি করা হয়েছে বলে জানাগেছে। যৌতুকের টাকা দিতে অপারগ হওয়ায় ডিভোর্স দেয় এবং ভুল তথ্য উপস্থাপন করে পুলিশের সহায়তায় ছনিয়াকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে গাজীপুর আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে ( সি আর নং ৪৭৫ / ২৩) বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগির পরিবার।

স্থানীয় ফেরদৌসি জানান, ফারুক কয় দিন পরে পরে বেয়া কইরা বউ আনে আর ছারে। ভূয়া কবিরাজি কইরা ধান্দাবাজি কইরা চলে, মাওনা থাহে। নিজের চোক্ষে দেহা ১২ ঢা বেয়া করছে। বওয়াইনতে টেহা পয়শা লইয়া আয়ে ওরে এইত্ত্বা রাইক্কা ছাইড়া দে। ছনিয়ারে লইয়া ১৩ ঢা বেয়া করছে। ছনিয়ার কাছে যৌতুকের টেহা চাইছে, দিতারছে না দেইক্কা ছাইড়া দিছে।

ভূক্তভোগী ছনিয়া জানায়, কবিরাজির ফাঁদে ফেলে আমাকে গোপনে বিয়ে করে।ছয় মাস পর জানাগেছে তার আগে ফারুক আরও ১২টা বিয়ে করছে। মোটা অঙ্কের টাকা যৌতুক দাবি করে আমি অপারগতা প্রকাশ করলে ইয়াবা খেয়ে নেশার ঘুড়ে মারপিট করে। অমানুষিক নির্যাতন থেকে মুক্তি পেতে ও স্বামীর সংসার টিকিয়ে রাখতে বাবা হাড়া ছনিয়া মা ভাইয়ের কাছ থেকে স্বর্ণালংকার সহ সাড়ে চার লাখ টাকার ফার্নিচার নিয়ে আসে এবং জমি বিক্রি করে নগদ চার লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। তার স্বামী ওমর ফারুক একজন নারী লোভী কবিরাজ নামি ভাঁওতাবাজ। সে নিয়োমিত ইয়াবা সেবন করে ও ব্যবসা করে। মানুষ কে ঠকিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়া তার মূল ব্যবসা বলে জানায় স্ত্রী ছনিয়া।

কপালেশ্বর গ্রামের বাসিন্দা মজিবুর রহমান বলেন, তার বাড়ি ভিটা ছাড়া কিছুই নাই। গার্মেন্টসে চাকরি কইরা, মানুষের বাড়িতে কৃষি কাজ কইরা সংসার চলতো।হঠাৎ করে দেহি পাকা বাড়ি করছে, হায়েজ গাড়ির মালিক হয়ে গেছে।এতোটাকা সে কোথায় পাইছে, কয়েক বছর আগেও কিছুই ছিলো না তার। ১২/১৩ টা বিয়া করছে, কথা বললেই মেয়ে মানুষ তার জন্য পাগল হয়ে যা, কি জানে হে। প্রত্যেকটা বউয়ের কাছ থেকে নেওয়া যৌতুক আর কবিরাজির নামে বাটপারি করে এসব টাকার মালিক হয়েছে ফারুক।

এবিষয়ে অভিযুক্ত ওমর ফারুকের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে বলেন, দুই বছর ধরে মাওনায় ব্যবসা করছেন। মানুষকে জ্বিন ভূতে ধরলে তন্ত্রমন্ত্রের সাহায়্যে ঝাড়ফুঁকে ছাড়িয়ে দেওয়ার কবিরাজি করেন কন্টাকে। আমি ঝাড়ফুঁক দিয়ে দিনে ৩০ হাজার কামাই মল্লো ৫০ হাজার কামাই করি এতে তাদের ক্ষতি কি। ছনিয়াকে যৌতুকের জন্য কোনো মারপিট করা হয়নি। কোনো টাকা দেয়নি এবং আমি দাবিও করিনি এগুলো মিথ্যা ভানোয়াট অভিযোগ বলে দাবি করেন ফারুক। সে চারটি বিয়ের কথা স্বীকার করলেও তার পরিবার ৬টি বিয়ের কথা জানিয়েছে।

ফারুকের বড় বোন দাবি করেন তার ভাই মাদক সেবন করেনা, কিন্তু বাড়িতে পুলিশ এসে ছিলো দুই বার, কিছুই পায় নাই। অপরধিকে একাধিক এলাকাবাসী প্রশ্ন তুলেন ইয়াবা না খাইলে, মাদক ব্যবসা না করলে পুলিশ আসলো কেনো বাড়িতে। সব মিথ্যা তাদের বাড়িতে পুলিশ আইছে, মাদকও পাইছে পরে জরিমানা দিয়ে আর করবেনা বলে হাতে পায়ে ধরে পুলিশের কাছ থেকে ছারা পাইছে।

আপনার মতামত প্রকাশ করেন

আপনার মন্তব্য দিন
আপনার নাম এন্ট্রি করুন