কাপাসিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা
খন্দকার হাফিজ উদ্দিনের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পূর্ণ।
শামসুল হুদা লিটন,কাপাসিয়া (গাজীপুর) থেকেঃ
গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার তারাগঞ্জ একডালা গ্রামের কৃতি সন্তান,স্বাধীনতা-উত্তর বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব খন্দকার হাফিজ উদ্দিন আহমেদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
২৭ নভেম্বর, রবিবার বাদ আছর একডালা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে জানাযা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে েদাফন করা হয়।
জানাযার নামাজের পূর্বে মরহুমের কফিনে কাপাসিয়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সালাম প্রদর্শন করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুল হোসেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট আমানত হোসেন খান, জেলা পরিষদের সদস্য আরিফুর রহমান আরিফ, দুর্গাপুর ইউনিয়নের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা সালাউদ্দীন মজনু। গাজীপুর জেলার একদল চৌকস পুলিশ বাহিনীর সদস্য প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার হাফিজ উদ্দিন আহমেদের কফিনে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। কাপাসিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের পক্ষ থেকে মরহুমের কফিনে ফুল দিয়ে গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন সংগঠনের সভাপতি আশরাফুল আলম ও সদস্য সচিব শরিফুল আলম।
জানাযার নামাজের পূর্বে মরহমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য রাখেন, কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট আমানত হোসেন খান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুল হোসেন, জেলা পরিষদের সদস্য আরিফুর রহমান আরিফ, জেলা ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, একডালা মহিলা আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মোবারক হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম, মরহুমের বড় ছেলে জেলা যুবলীগ নেতা নূরে আলম সুমন, ভাতিজা ডা. আমজাদ হোসেন জাহাঙ্গীর, শরীফুল আলম শামীম, কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি নেতা মোঃ মজনু মিয়া, তারাগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও বিশিষ্ট সাংবাদিক শামসুল হুদা লিটন, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের সভাপতি আশরাফুল আলম প্রমূখ। মরহুমের জানাযায় ইমামতি করেন তারাগঞ্জ স্কুলের ধর্মীয় শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ২৭ নভেম্বর, রবিবার সকাল ৯ টা ৩০ মিনিটে
বার্ধক্যজনিত কারণে শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে
চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন (ইন্নালিল্লাহি অইন্না আলাইহির রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। তিনি স্ত্রী, ৩ ছেলে, ৩ মেয়ে সহ বহু আত্মীয় স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
বর্নাঢ্য জীবনের অধিকারী মরহুম খন্দকার হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ছিলেন সমাজ সচেতন ও সমাজ হিতৈষী ব্যক্তিত্ব। তিনি তারাগঞ্জ এলাকায় মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। স্বাধীনতা ও স্বাধীনতা উত্তর কালে পলাশ- ঘোড়াশাল শিল্পাঞ্চল এলাকায় তিনি ছিলেন শ্রমজীবী মানুষের পরিচিত মুখ। শ্রমি আন্দোলনের নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধু আহবানে জাতীয় শ্রমিক লীগ প্রতিষ্ঠায় তাঁর ভূমিকা ছিলো অনন্য। শ্রমিক নেতা হিসেবে তিনি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে রাশিয়া সফর করেছিলেন।স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের আমলে তিনি কারাভোগ করেন। তিনি বিভিন্ন ধর্মীয় , সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে আমৃত্যু জড়িত ছিলেন। তাঁর নামাজে জানাজায় অসংখ্য মুসল্লি অংশ গ্রহণ করেন।