ভিক্ষার টাকায় কিনে নেয়া হয় আপনার সাংবাদিকতা!
======
লিখতে জানে না, পড়তে পারে না, পরিচয় দেয়ার মতো শিক্ষাগত যোগ্যতাটুকুও অর্জন করতে পারেনি অথচ সম্পাদক হয়েছে, সাংবাদিক হয়েছে… তাদের নামধাম পরিচয় জানতে চাইলেন তথ্যমন্ত্রী। বললেন, তিনি নিজে তাদের বিরদ্ধে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেবেন।
আপনার জানামতে এমন সাংবাদিক, সম্পাদক কী আছেন? তাহলে আর দেরি কেন? এখনই তাদের নাম ধাম পরিচয় লিখে আমার ইনবক্সে পাঠান। আগামি রোববরাই তাদের তালিকা পৌঁছে দেয়া হবে সম্মানীত তথ্যমন্ত্রীর দপ্তরে।
গণমাধ্যম জগতকে তুচ্ছ বানিয়ে এসব গন্ডমূর্খরা দিনের পর দিন সমাজের বিরাট একটি অংশে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে চলছে, সাংবাদিকতাকে অমর্যাদার পেশায় পরিনত করছে। তাদের প্রতি পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে আপনি কোনভাবেই আর আবেগ দেখাবেন না, কোনভাবেই স্বজনপ্রীতি করবেন না। মনে রাখবেন, তারা বড়জোর আপনাকে ৫/১০ হাজার টাকার চাকর মনে করে, তারা ভাবে নিজের ‘সাংবাদিক হওয়ার যোগ্যতা ‘ না থাকুক, নামিদামি ১০ জন সাংবাদিক আমার হুকুমের চাকর। অতএব, গোটা সাংবাদিকতার জগতটাই আমার কেনা গোলাম।
আপনার মেধাকে ভিক্ষার টাকায় কিনে নেয়া মূর্খ সাংবাদিক/ সম্পাদক উচু মর্যাদায় আসীন হয়ে আপনার সাংবাদিকতাকেই তুচ্ছ তাচ্ছিল্য বানিয়ে দিচ্ছে ; সেটাও আপনি অবলীলায় মেনে নিবেন? কেন? নিজের দুই বেলা খাবারটুকু নিশ্চিত করতে গিয়ে মর্যাদার পেশাটাকেও ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিতে একটুও কী খারাপ লাগে না?
সুতরাং পেশাটির মর্যাদা রক্ষায় এখনই বদলে যান, প্রয়োজনে কঠোর পরিশ্রমের ভিন্ন কোনো পেশায় গিয়ে জীবিকা নিশ্চিত করুন। তবুও ভালবাসার সাংবাদিকতাকে খাটো হতে দিয়েন না প্লীজ।
বিণয়ের সঙ্গে জানিয়ে রাখছি, আমার জানামতে অন্তত ১৬ জন সম্পাদক রয়েছেন যারা নিজেরা পাঠ করতে জানেন না, লিখতে পারা অনেক দূরের কথা। তারা শুধু টাকার বদৌলতে সম্পাদক বনে গেছেন, তারাই পেশাদার সাংবাদিকদের গোলাম বানিয়ে নিজের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেন।
আসুন, আপনি, আমি, আমরা এই বিত্তবানদের কবল থেকে নিজেদের গুটিয়ে আনি, সাংবাদিকতাকে বাঁচাই। কথিত মূর্খদের সম্পাদকদের পবিত্র পেশা থেকে বিতাড়নের ব্যবস্থা করি। সাংবাদিকতার মর্যাদা রক্ষা করি, সম্পাদক নামক প্রতিষ্ঠানকে স্বসম্মানে প্রতিষ্ঠিত করি।
লিখেছেন-সিনিয়র সাংবাদিকঃ ছাইদুর রহমান রিমন।