শায়েস্তাগঞ্জে ঘন-কুয়াশা,হাড় কাঁপানো শীত
এম হায়দার চৌধুরী শায়েস্তাগঞ্জ থেকে:: সারাদেশের ন্যায় কনকনে শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার জনগণ। সর্বত্র তীব্র শীতে নাকাল শহর ও গ্রামের মানুষজন। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষ ও গৃহহীন মানুষের অবস্থা অবর্ননীয়। এর কিছুটা উপলব্ধি করা যায় রেলওয়ে প্লাটফর্ম ও বস্তিবাসী লোকজনকে পরিদর্শনে। কয়েক দিন থেকে সূর্যের দেখা মিলছে না। সূর্য যেন সোনার হরিণ হয়ে পড়েছে। মাঝে মাঝে দুই এক ঘন্টার জন্য নিরুত্তাপ সূর্যের দেখা পেলেও এতে শীতের তীব্রতা হ্রাস পায় না। এদিকে হাড় কাঁপানো কনকনে শীতের তীব্রতার মাঝে আবহাওয়া অফিসের বৃষ্টির পূর্বাভাস যেন, মরার উপর খাড়ার ঘা।
সিলেট অঞ্চলের শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার শীত অনুভূত হচ্ছে। এর প্রভাবে হীম শীতলতায় ধুঁকছে হবিগঞ্জসহ শায়েস্তাগঞ্জবাসী। দেশময় চলমান শৈত্যপ্রবাহের কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে লোকালয়ের জনজীবন। অত্যাবশ্যকীয় কারণ ছাড়া কেউ ঘর ছেড়ে বের হচ্ছেন না। এর মধ্যে রিকশা চালকদের করুন অবস্থা। তাঁরা শত প্রতিকূলতার মধ্যেও রিকশা চালাতে বাধ্য হয়েছেন। এ কনকনে শীতে বৃদ্ধ ভিক্ষুকদের বিচরণ সীমিত হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে সরজমিনে শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে প্লাটফর্ম ও গৃহহীনদের অবস্থান ঘুরে দেখা যায় তাদের মানবেতর জীবনযাপন। রেলওয়ে প্লাটফর্মে যৎসামান্য শীতবস্ত্র মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছেন কিছু ছিন্নমূল মানুষ। পাশের বস্তির দুরন্ত কিশোর ও যুবকরা খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাচ্ছেন সাময়িকভাবে হাড় কাঁপানো শীত নিবারণের আশায়। প্লাটফর্মে ঘুমের প্রস্তুতিকালে মোঃ করিম মিয়া জানান, তিনি দিনভর ভিক্ষা করেন, রাতে এসে রেল স্টেশনের প্লাটফর্মে রাত্রি যাপন করেন। তিনি বলেন শীত অনেক বেশি, উনার কাছে থাকা শীত নিবারণের পাতলা কম্বল এ শীতের জন্য যথেষ্ট নয়। অন্যান্য বছর দান হিসেবে একাধিক কম্বল পেয়েছেন। এবার শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ তেমন হচ্ছে না। এ বছরের ঠান্ডা অনেক বেশি, তাই তিনি কষ্টে আছেন। পার্শ্ববর্তী বস্তির বাসিন্দা আঙ্গুরা বেগম বলেন, দালান কোঠার লোকজন শীতে কাঁপছে, বস্তির অবস্থা আরো শোচনীয়। এসময়ে কম্বল পেলে শীতের কষ্ট কিছুটা লাঘব হত।