শায়েস্তাগঞ্জে রমজান মাসে দ্রব্যমূল্যে উত্তাপ

0
3

শায়েস্তাগঞ্জে রমজান মাসে দ্রব্যমূল্যে উত্তাপ

এম হায়দার চৌধুরী, শায়েস্তাগঞ্জ প্রতিনিধি:: হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার বাজারগুলোতে রমজান মাসে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। সেই সাথে চলছে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষজনের দুর্গতি। বিশেষ করে সবজির বাজারসহ রমজান মাসে বেশি কেনা হয় এমন সব ভোজ্যপণ্যগুলোর দামে আগুন লেগেছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, অতি সাধারণ মানের খেজুর যা , স্বল্প সাধ্যের লোকজন কিনে, তার দাম ২ শ টাকা কেজি থেকে শুরু হয়েছে যা আগে ছিল ১২০ টাকা। প্রকার ভেদে খেজুরের দাম উঠা নামা করছে। একটু ভালো খেজুর ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। উচ্চ মানের খেজুর দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়।
রমজান মাসে অত্যাবশ্যকীয়, পণ্য ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজিতে, এংকর ডাল ৯০ থেকে ১ শ টাকা, খেসারি ডালের কেজি এখন ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশী সরু দানার মসুর ডাল ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেয়াজের বাজার বরাবরের মতই অস্থিতিশীল। পেঁয়াজ কখনো ১০০ টাকা কেজি আবার কখনো ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি দেশি আদা ৩০০ টাকা, চায়না রসুন ২৫০ ও দেশি রসুন ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বরাবরের মতই বাজারে বেড়েছে মুরগির দাম। নিম্ন আয়ের মানুষের মাংসের চাহিদা পূরণের একমাত্র খাদ্য ব্রয়লার মুরগি সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৪০ টাকা দাম বেড়েছে । রমজান উপলক্ষে ১৮০ টাকা কেজির ব্রয়লার মুরগি ২২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। পাকিস্তানী সোনালী ৩৩০ টাকা, দেশি মুরগী ৬ শ থেকে ৭ শ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮ শ টাকা দরে। খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২ ০০ টাকায়।
কাঁচাবাজারে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, ঝিঙে ৮০, ৩০ টাকার বেগুন ১০০, পেঁপে ৫০, লাউ প্রতি পিস ৫০, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৫০, টমেটো প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ফুলকপি ৫০, আলু ৩৫, কাঁচা মরিচ ১৫০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা ও শিমের বিচি ১৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। রমজান মাস আসার পর থেকে লেবু কিনতে গিয়ে লেজেগোবরে অবস্থা। এখন বাজারে ৪০ টাকা লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়।
বাজারের বিক্রেতারা বরাবরই নিজেদের দায় এড়াতে সিদ্ধ হস্ত। দাউদনগর বাজারের সবজি বিক্রেতা লাল মিয়া জানান, শীতের সবজির মৌসুম শেষের দিকে, তাই দাম অস্থিতিশীল।
ক্রেতা জব্বার আলী জানান, রমজান মাস উপলক্ষে তরমুজের চাহিদা একটু বেশি থাকায় দাম আকাশছোঁয়া। গেল বছরের ২০০ টাকার তরমুজ এ বছর ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বড় আকারের একটি তরমুজ ১ হাজার থেকে ১২ শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ বছর তরমুজের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে।

আপনার মতামত প্রকাশ করেন

আপনার মন্তব্য দিন
আপনার নাম এন্ট্রি করুন