শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার পৌর এলাকার শ্রীপুর-আনসার রোড আঞ্চলিক সড়কে রাস্তার পাশে ফুটপাত দখল করে প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় অর্ধশত দোকান বসানো হয়েছে।
এই সড়কটির পাশে নেই ফুটপাত। সড়কের পাশে যতটুকু খালি জায়গা আছে সেখানে বসেছিয়েন স্থায়ী দোকানপাট। দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন বিভিন্ন কলকারখানার কর্মরত, হাজার হাজার শ্রমিক ও পথচারীরা । এ সমস্যা সমাধানে নেই কোনো উদ্যোগ।
সরেজমিনে দেখা যায়, শ্রীপুর উপজেলার ভেতর দিয়ে শ্রীপুর-আনসার রোড আঞ্চলিক সড়কটি দিয়ে অর্ধশতাধিক মিলকারখানার দেড় লাখ শ্রমিক ও শ্রমজীবী মানুষ যাতায়াত করে থাকেন।এই সড়কটি ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। সড়কটি শ্রীপুর আনসার রোডে দিনরাত বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করে থাকে। ফলে এটি একটি ব্যস্ততম সড়ক।
ফুটপাট দখল করা দোকানিদের সাথে কথা বলে জানাজায়, এই ফুটপাতে দোকান ঘর থেকে প্রতিদিন মসজিদের নাম করে টাকা উত্তোলন করা হয়। এছাড়াও প্রতি মাসেও দোকান প্রতি তিন হাজার টাকা ভাড়া দিতে হয়,পাশাপাশি প্রতিদিন বিদ্যুৎ বিল এবং পানির বিল পরিশোধ করতে হয়। আসলেই এই টাকা মসজিদ ফান্ডে যায় নাকি, অন্য কেউ খেয়ে ফেলে তা আমাদের জানা নেই, তবে মসজিদ কমিটির একজন সদস্য প্রতিদিন আমাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে যায়। কিন্তু পথচারীদের জন্য সড়কের কোনো প্রান্তে ফুটপাত নির্মাণ করা হয়নি, এ ছাড়া সড়কের পাশে দোকান থাকায় ইজিবাইক দাঁড় করিয়ে রাখায় প্রতিদিন সড়কে লেগে থাকে যানজট।
এবিষয়ে বাইতুল আমান জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান জানান, মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় আঞ্চলিক সড়কের পাশে যে সকল দোকানগুলো করা হয়েছে এগুলো মসজিদ কমিটির করেনি, তারা নিজে উদ্যোগে দোকান ঘরগুলো নির্মাণ করেছেন। আমাদের মসজিদে ভালো একজন ইমাম রেখেছি অনেক টাকা বেতন দিতে হয়। তাছাড়া মসজিদ কমিটির সভাপতি নির্দেশে সেই দোকানঘর থেকে দোকান বেধে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ টাকা করে মসজিদের উন্নয়নের জন্য উঠানো হয়।
এবিষয়ে বাইতুল আমান জামে মসজিদের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন জানান, মসজিদের কমিটিতে আমাকে সভাপতি করা হয়েছে, মসজিদের জমি দাতা পরিবারে সদস্য আব্দুল মান্নান সকল হিসাব-নিকাশ রাখেন এবং ইমাম মোয়াজ্জেমের বেতন তিনি পরিশোধ করেন। মসজিদের উন্নয়নের জন্য আঞ্চলিক সড়কের পাশে দোকান থেকে যে টাকা উত্তোলন করা হয় সেই কাটার হিসাব-নিকাশ আব্দুল মান্নান রাখেন। তবে আমি যতটুকু জানি মসজিদ কমিটির নাম করে পেছন থেকে অন্য কোন লোক আঞ্চলিক সড়কে বসা দোকান থেকে বড় ধরনের ফায়দা লুটে নিচ্ছে। সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি করে সে টাকা দিয়ে মসজিদের ইমাম ময়াজ্জেমের বেতন দেওয়াটাও আমি অযৌক্তিক মনে করি না।
এব্যাপারে শ্রীপুর পৌর নির্বাহী রফিকুল হাসান জানান, এবিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।