বিশেষ প্রতিনিধিঃ
সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিক খোরশেদ আলমকে মামলার হুমকি দিয়ে আবারও আলোচনায় গাজীপুরের কাপাসিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা সাখাওয়াত হোসেন। খোরশেদ আলম যুগান্তর প্রতিনিধি হিসেবে গাজীপুরের কাপাসিয়ায় কর্মরত।
সোমবার ৭ নভেম্বর ২২ইং সকালের দিকে ফোনে এ হুমকি দেন চেয়ারম্যান সাখাওয়াত।
খোজ নিয়ে জানা যায়,গত ৬ নভেম্বর কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল:নিন্দার ঝড় শিরোনামে বিভিন্ন পত্রিকা সহ যুগান্তর পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদের সূত্র ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ১ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডের ভিডিও,যাতে কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাদা পাঞ্জাবি-পায়জামা, টুপি ও চশমা পরিহিত অবস্থায় একটি নির্জন স্থানে বসে আছেন।এ সময় তিনি অপরপ্রান্তে কাউকে হাত ও মুখ নেড়ে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি করছেন। একপর্যায়ে তিনি একহাতে পেনিস নাড়াচাড়া করছেন। এ ভিডিও ভাইরালের পর ইতোমধ্যে পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে আ’লীগ।
ওই সংবাদের একাংশে গত কয়েক মাস আগে উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ও সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন প্রধানের বিরুদ্ধে তার বাড়ির কাজের মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণের ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে কন্যাশিশু প্রসব করার অভিযোগে একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে। এর পর সাংবাদিক খোরশেদ আলমকে মুঠোফোনে মামলার হুমকি দেন এবং দ্রুত দেখা করতে বলেন চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন।
যা নিয়ে রীতিমতো জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত সাংবাদিক খোরশেদ আলম।
চেয়ারম্যান ও তাঁর বাহিনী স্থানীয় ভাবে এতটাই ভয়ংকর যে,কেউ তাদের অপরাধ,অপকর্ম,দূর্নীতি নিয়ে মুখ খুলতে সাহস পায় না,অবৈধ টাকা এবং রাজনৈতিক প্রভাবে এমন বেপরোয়া কর্মকাণ্ড করে বলে অভিমত সচেতন মহলের।
সাংবাদিক খোরশেদ আলম বলেন, ওই সংবাদ প্রকাশের পর চেয়ারম্যান আমাকে নিয়ে বিভিন্ন লোকজনের কাছে মিথ্যা ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। তিনি আমার মুঠোফোনে কল দিয়ে আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার পাশাপাশি মামলার হুমকি এবং দ্রুত দেখা করতে বলেন।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান বলেন,তিনি আমার বিরুদ্ধে একটি সংবাদ পরিবেশন করেছেন,যা তদন্তের কাজ চলমান। প্রমাণিত না হওয়ার আগেই সংবাদ করে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।
কাপাসিয়া থানার ওসি অপারেশন শেখ মো. আমিরুল ইসলাম বলেন,এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ কিংবা সাধারণ ডায়েরি করেননি। অভিযোগ দায়ের করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।