মোঃ শফিকুল ইসলাম ভূইয়া,গাজীপুর।
বহুল আলোচিত এবং নাটকীয়তা শেষে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজমত উল্লা খানের চেয়ে ১৬ হাজার ১৯৭ ভোট বেশি পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হলেন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের মা স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন।
আজ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে গাজীপুর জেলা পরিষদের ভবনের বঙ্গতাজ মিলনায়তনে এ নির্বাচনের ‘ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র’ থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম এ ঘোষণা দেন।
এর আগে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়। এরপর থেকে বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামে নির্বাচনের ‘ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র’থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম ফলাফল ঘোষণা শুরু করেন। মধ্যরাতে এই নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ ফল আসে।
নির্বাচনে মোট ৪৮০টি কেন্দ্রের ফলাফলে দেখা যায়, টেবিল ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজমত উল্লা খান পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট। সে হিসাবে আজমতউল্লাহ’র চেয়ে ১৬ হাজার ১৯৭ ভোট বেশি পেয়েছেন জায়েদা খাতুন। জায়েদা খাতুন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের মা।
অপর মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে মাছ প্রতীকে আতিকুল ইসলাম ১৬ হাজার ৯৭৪, লাঙ্গল প্রতীকে এম এম নিয়াজ উদ্দিন ১৬ হাজার ৩৬২, হাতপাখা প্রতীকে গাজী আতাউর রহমান ৪৫ হাজার ৩৫২, গোলাপ ফুল প্রতীকে মো. রাজু আহাম্মেদ ৭ হাজার ২০৬, ঘোড়া প্রতীকে মো. হারুন-অর-রাশিদ ২ হাজার ৪২৬ এবং হাতি প্রতীকে সরকার শাহনূর ইসলাম ২৩ হাজার ২৬৫ ভোট পেয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, গাজীপুর সিটিতে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। দুপুর পর্যন্ত ভোটের হার ৬০ শতাংশের মতো ছিল বলে নির্বাচন কর্মকর্তারা ধারণা দিয়েছিলেন অবশ্য ফাইনালি ৪৮.৭৫% ভোট জমা হয়েছে।
জায়েদা খাতুন নগর মাতা নির্বাচিত হয়ে নগরের প্রতিটি নাগরিকের প্রতি বিনম্র কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে সবাইকে শান্ত থাকার কথা বলেন।