স্বামীর খোঁজে বাংলাদেশে পাকিস্তানি নারী!
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:: স্বামীর খোঁজে হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে গ্রামের বাড়িতে এসে হাজির হয়েছেন এক পাকিস্তানি নারী। মাহা বাজোয়ার (৩০) নামের ওই নারী পাকিস্তানের লাহোরের বাসিন্দা মকসুদ আহমেদের মেয়ে। মাহার স্বামীর নাম সাজ্জাদ হোসেন মজুমদার (৩৫)। তিনি চুনারুঘাট পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের উত্তর বড়াইল এলাকার শফি উল্লা মজুমদারের ছেলে।শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) স্বামীর খোঁজে বাংলাদেশে এসেছেন মাহা। চুনারুঘাট সাজ্জাদের ভাইয়ের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন তিনি। এদিকে বিদেশি বধূ আসার খবরে আশপাশের এলাকা থেকে উৎসুক জনতা ওই বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন।
জানা যায়, দশ বছর পূর্বে দুবাইয়ে সাজ্জাদের সাথে পরিচয় ও বিয়ে হয় পাকিস্তানি নারী মাহার। এক পর্যায়ে মাহার সাথে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় সাজ্জাদের। কিন্তু সেই ডিভোর্স না মেনে স্বামীর সঙ্গে সংসার করতে চান মাহা। তাই ১৭ নভেম্বর পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে উড়ে আসেন মাহা। শুক্রবার রাতে তিনি উত্তর বড়াইল গ্রামে সাজ্জাদের বাড়িতে গিয়ে ওঠেন।
এ বিষয়ে সাজ্জাদের ভাই স্বপন মজুমদার জানান, ২০১৪ সালে পাকিস্তানের লাহোরে ওই পাকিস্তানি তরুণীকে বিয়ে করেন সাজ্জাদ। এরপর সাজ্জাদ তাকে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন এবং পুনরায় পাকিস্তান চলে যান। সাজ্জাদ ১৭ নভেম্বর পুনরায় দেশে ফেরেন; একই দিনে বাংলাদেশে ফেরেন মাহাও। দুবাইয়ের একটি নাইট ক্লাবে সাজ্জাদ চাকরি করতেন। সেখানেই মাহার সঙ্গে তার পরিচয় পরে তারা বিয়ে করেন। এ মুহূর্তে সাজ্জাদ নেই বাড়িতে সে এলে এলাকার গণ্যমান্যদের নিয়ে বসে বিষয়টির সুরাহা করা হবে। পাকিস্তানের ওই নারী বর্তমানে তার আতিথেয়তায় রয়েছেন বলেও স্বপন জানান।
হবিগঞ্জ জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, ২০১৮ সালে মাহা ও সাজ্জাদের তালাক হয়। কিন্তু মাহা তা মেনে নিচ্ছেন না। তিনি স্বামীর সঙ্গে সংসার করতে চান। এ বিষয়ে চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল হক জানান, মাহা ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ এসেছেন। কিন্তু এদেশে অবস্থানের জন্য প্রয়োজনীয় নিয়মাবলি তিনি অনুসরণ করেননি। ওই নারী থানায় এসেছিলেন এবং পরবর্তীতে আবার আসবেন বলে চলে যান। শনিবার সন্ধ্যায় একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে যোগাযোগ করা হলে মাহা বলেন, ‘আমি আপনার সঙ্গে দেখা করে কথা বলব।