হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে নবনির্মিত থানা ভবন উদ্বোধন করলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী
এম হায়দার চৌধুরী, শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি:: আওয়ামী লীগ কখনো ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেনি, সব সময় ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে। অন্য দলগুলি গডফাদার, বন্দুকের নল ও নানান ধরনের ফন্দি ফিকিরের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করেন যা আওয়ামী লীগ কোনদিন চিন্তা করেনা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি শনিবার (৩ ডিসেম্বর) হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থানার নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন কালে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
আজ বিকাল তিনটার দিকে তিনি শায়েস্তাগঞ্জ থানার নবনির্বিত ভবনের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন। ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে থানা চত্বরে এক সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সুধী সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহমুদ মাহবুব আলী এমপি, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও হবিগঞ্জ ৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির, হবিগঞ্জ ২ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট মোঃ আব্দুল মজিদ খান, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমেদ, হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান, হবিগঞ্জের জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডাঃ মুশফিক হোসেন চৌধুরী, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ আলমগীর চৌধুরী, ও শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল।
উল্লেখ্য, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার বড়চর মৌজায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে ১০০ শতক জমির ওপর দৃষ্টিনন্দন থানা ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে। ভবনের চারপাশে নানা রকম ফুল ও ফলের বাগান গড়ে তোলা হয়েছে। ভবন অভ্যন্তরে আধুনিক সভাকক্ষ, কর্মকর্তাদের বসার জন্য দৃষ্টিনন্দর অফিস রুমসহ অত্যাধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা রয়েছে।
জানা যায়, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে হবিগঞ্জের কৃতিসন্তান শাহ এএমএস কিবরিয়া টেকনোক্রেট কোটায় অর্থমন্ত্রী হন। অর্থমন্ত্রী হয়ে হবিগঞ্জের অনেক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড শুরু করেন তিনি। এরই অংশ হিসেবে ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন শায়েস্তাগঞ্জ থানা। থানা প্রতিষ্ঠার পর শহরের উদয়ন আবাসিক এলাকায় প্রথমে একটি বাসাভাড়া নিয়ে থানার কার্যক্রম শুরু হয়। পরে সেখানে স্থান সংকুলান না হওয়ায় একই এলাকার আরেকটি বাসায় স্থানান্তর করা হয়।
২০১৮ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট (পিডব্লিউডি) দরপত্র আহ্ববান করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মোস্তফা কামাল ৭ কোটি ২৫ লাখ টাকায় কাজটি পান। পরে দরপত্রের বাইরে কাজ করানোয় আরও প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয় বাড়ানো হয়। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ ৫৮ জন পুলিশ সদস্য সংবলিত এ থানায় পর্যাপ্ত স্থানের অভাবে এতদিন থাকা, খাওয়াসহ নানান সমস্যা ছিলো। থানা ভবন উদ্বোধন হওয়ার পর এ সকল সমস্যা আর থাকবে না বলে মনে করছেন থানা সংশ্লিষ্টরা।