“গাজীপুর-৩ ও পাবনা -৪ অাসনে মনোনয়নে পরিবর্তন প্রায় চুরান্ত জানালেন অা’লীগের নীতি-নির্ধারকরা” বহুল অালোচিত গাজীপুর -৩ ও পাবনা-৪ অাসনের মনোনয়নে অাসছে পরিবর্তন। এ ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ২ বছর যাবত প্রতি ৩ মাস অন্তর শেখ হাসিনা কতৃক পরিচালিত জনমত জরিপ, বিশেষ করে সবশেষ পরিচালিত ৪ টি জনমত জরিপের সবগুলোতে উল্লেখিত অাসন দুটিতে গাজীপুর জেলা অা’লীগের সাধারন সম্পাদক সবার প্রিয় মুখ ইকবাল হোসেন সবুজ এবং পাবনা-৪ অাসনে পাঞ্জাব বিশ্বাস এগিয়ে থাকায় অাসন দুটিতে তারাই মনোনয়ন পাবেন বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন বলে জানান অা’লীগের নীতি-নির্ধারকরা। অা’লীগ নীতি-নির্ধারক সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, কেন্দ্রিয় পর্যায়ে নেতৃত্বে অাছেন এমন ১’শ জন প্রার্থিকে ইতিমধ্যেই গ্রীনসিগন্যাল দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অপর ১’শ অাসনের চুড়ান্ত তালিকা শেষের পথে। ঈদের পরপরই এই ১’শ জনকে দেওয়া হবে চুড়ান্ত সংকেত। প্রার্থি বাছাই হচ্ছে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোন থেকে ৪ টি জনমত ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে। যা সম্পূর্ণরুপে দেখভাল ও যাচাই বাছাই করছেন স্বয়ং শেখ হাসিনা নিজে। কেন্দ্রিয় কমিটি থেকে প্রাপ্ত সূত্র এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, অা’লীগের সৃষ্টিলগ্ন থেকে অাজ পর্যন্ত প্রার্থি নির্বাচনে এত কঠোর অবস্থান গ্রহন করা হয়নি অতীতে কখনোই। জনমত জরিপের ভিত্তিতে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে, কেবল যে সব প্রার্থি জনপ্রিয় এবং যাদের সততা অাদর্শ প্রশ্নবিদ্ধ নয়, দলের প্রতি যাদের কমিটমেন্ট রয়েছে ও নির্বাচনে জিতে অাসার সম্ভবনা রয়েছে, কেবল সে ধরনের প্রার্থিকেই চুড়ান্তভাবে তালিকাভূক্ত করা হচ্ছে। ব্যক্তি সম্পর্ক, অতীত,পদ, পদবি, কোন কিছুই দেখা হচ্ছে না প্রার্থি নির্বাচনের ক্ষেত্রে।শুধুমাত্র যাদের প্রকৃত জনপ্রিয়তা রয়েছে, কেবল তাদের মধ্য থেকেই চুড়ান্তভাবে ১ জনকে নির্বাচিত করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সূত্র মতে একাদশ সংসদে যে সব প্রার্থি দল থেকে মনোনয়ন পাবেন তারা হবেন সর্বজন গ্রহনযোগ্য।এদেরকে নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় কোন বিতর্ক যাতে না থাকে এমন সৎ চরিত্রবান গ্রহনযোগ্য প্রার্থিকেই বেছে নিচ্ছে অা’লীগ। টানা ৩ বারের জন্য ক্ষমতায় থাকতে জন অাস্থা ও জন প্রত্যাশাকে গুরুত্বের সাথে দেখছে দলটি। জনপ্রিয়তার প্রশ্নে কোন অপোষ করছেন না শেখ হাসিনা। জানা গেছে, প্রথম ১’শ অাসনে মনোনয়ন পাচ্ছেন জনপ্রিয় কেন্দ্রিয় নেতারা।এদের মধ্যে মন্ত্রী অামলা দলের নীতি নির্ধারকরা রয়েছেন। অপর ১ ‘শ অাসনে সতর্কতা এবং কঠোর গোপনীয়তা পালন করা হচ্ছে। কারন এই ১’শ অাসনে থাকছেন দলটির তৃণমূলের জনপ্রিয় প্রার্থিরা। এই ১’শ অাসনে এমন প্রার্থিও রয়েছেন যারা দলটির সাথে সরাসরি জড়িত নন বা রাজনীতি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিও নন কিন্তু সৎ অাদর্শবান এবং ব্যক্তি ইমেজে উদ্ভাসিত সর্ব গ্রহনযোগ্য।কিন্তু এরা মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বঙ্গবন্ধু ও অা’লীগের অাদর্শকে ধারন করে। সূত্র মতে সবশেষ ১’শ অাসন থেকে মহাজোট প্রার্থিদের ৬০/৭০ টি অাসন দিয়ে বাকি অাসনগুলোতে কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিক, তারকা প্রার্থিদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে জাতির সামনে চমক হিসেবে। একাধিক নীতি নির্ধারক জানিয়েছেন, বাজেট সেশনের পর ৬০ সদস্য বিশিষ্ট একটি নতুন মন্ত্রী পরিষদ শপথ নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।সেপ্টম্বরের শেষের দিকে বা অক্টোবরে তফশীল ঘোষণার পর সংসদে প্রতিনিধিত্বকারি রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়ে গঠিত হবে ছোট্ট কলেবরে নির্বাচনকালীন মন্ত্রী পরিষদ। এ সময়েই দৃশ্যমান হবে অা’লীগের চুড়ান্ত প্রার্থি তালিকা জাতির সামনে।।
