নানা প্রতিকূল পরিবেশেও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে বিএনপি। যে কোনো পরিস্থিতিতেই দলটি নির্বাচনে যেতে চায়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হাতে ৩০০ আসনে দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা পৌঁছেছে।
কয়েক দফা জরিপ চালিয়ে দলের সম্ভাব্য প্রার্থীও চূড়ান্ত করা হয়। সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠপর্যায়ে অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণাও শুরু করেছেন। দলটি আশা করছে, ভোটের আগেই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারামুক্তি লাভ করবেন। কোনো কারণে তিনি মুক্তি না পেলেও সম্ভাব্য সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে দলটি।
হাইকমান্ডের সবুজ সংকেত পাওয়ার পরপরই মাঠে ঝাপিয়ে পড়বেন প্রার্থীরা। এরই মধ্যে তারেক রহমানের নির্দেশনায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সিনিয়র নেতাদের নিয়ে একাদশ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। তারেক রহমানের টেবিলে যাওয়া দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা বাংলাদেশ প্রতিদিনের হাতে এসেছে।
তালিকা অনুযায়ী— পঞ্চগড়-১ ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার কিংবা তার ছেলে ব্যারিস্টার নওশাদ জমির, পঞ্চগড়-২ বিএনপি নেতা ফরহাদ হোসেন আজাদ। ঠাকুরগাঁও-১ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ঠাকুরগাঁও-২ জোটের পক্ষে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ছিলেন। বিএনপি থেকে মির্জা ফখরুলের ছোট ভাই মির্জা ফয়সাল আমিন দলীয় মনোনয়ন প্রার্থী। ঠাকুরগাঁও-৩ জাহিদুর রহমান, ওবায়দুল্লাহ মাসুদ ও কামাল আনোয়ার আহম্মেদ। দিনাজপুর-১ জামায়াতের প্রার্থী ছিল। এবার সেখানে শফিউল আলম প্রধানের মেয়ে ব্যারিস্টার তাসনিয়া প্রধানও প্রার্থী হতে চান।
দিনাজপুর-২ লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান বা মঞ্জুরুল ইসলাম, দিনাজপুর-৩ (সদর) বেগম খালেদা জিয়া বা শাহরিয়ার আক্তার হক ডন। দিনাজপুর-৪ আখতারুজ্জামান বা হাফিজুর রহমান সরকার, দিনাজপুর-৫ এম রেজওয়ানুল হক, দিনাজপুর-৬-এ জামায়াত ছিল। এবার বিএনপির অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনও নির্বাচন করতে পারেন।
নীলফামারী-১-এ খালেদা জিয়ার ভাগ্নে শাহরিন ইসলাম তুহিন বা জোটের শরিক বাংলাদেশ ন্যাপের জেবেল রাহমান গানি, নীলফামারী-২-এ জামায়াতের প্রার্থী ছিল। সেখানে বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শামছুজ্জামান সম্ভাব্য প্রার্থী। নীলফামারী-৩-এ জামায়াত ছিল। বিএনপির ফাহমিদ ফয়সল চৌধুরী কমেটও দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থী। নীলফামারী-৪ আমজাদ হোসেন সরকার, কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন বা কেন্দ্রীয় নেত্রী বিলকিস ইসলামও দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন।
লালমনিরহাট-১-এ জামায়াত ছিল। সেখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী ব্যারিস্টার হাসান রাজীব। লালমনিরহাট-২ সালেহউদ্দিন আহমেদ হেলাল ও লালমনিরহাট-৩ আসাদুল হাবিব দুলু।
রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া) জামায়াত ছিল। আসনটি ফাঁকা রাখা হয়েছে। রংপুর-২ (তারাগঞ্জ-বদরগঞ্জ) জামায়াত ছিল। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী অধ্যক্ষ পরিতোষ চক্রবর্তী। রংপুর-৩ মোজাফ্ফর হোসেন, রইচ আহমেদ, মরহুম মশিউর রহমান যাদুমিয়ার মেয়ে রিটা রহমান বা আবদুল কাইয়ুম মন্ডল বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী। রংপুর-৪ রহিমউদ্দিন ভরসার ছেলে এমদাদুল হক ভরসা। রংপুর-৫ (মিঠাপুকুর) জামায়াত ছিল, রংপুর-৬ নূর মো. মন্ডল।
কুড়িগ্রাম-১ সাইফুর রহমান রানা, কুড়িগ্রাম-২ অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, কুড়িগ্রাম-৩ তানভিরুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম-৪-এ জামায়াত ছিল।
গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) জামায়াত ছিল। গাইবান্ধা-২ শফিকুর রহমান ও আনিসুজ্জামান খান বাবু। গাইবান্ধা-৩-এ জামায়াত ছিল। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী ডা. মইনুল হাসান সাদিক। গাইবান্ধা-৪-এ জামায়াত ছিল। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী আবদুল মোত্তালিব, অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম ও কাজী জেসিন। গাইবান্ধা-৫ হাছান আলী ও মোহাম্মদ আলী।
জয়পুরহাট-১ মোজাহার আলী প্রধান, ফয়সাল আলীম ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান। জয়পুরহাট-২ ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা এবং এ এইচ এম ওবায়দুর রহমান চন্দন।
বগুড়া-১ মো. শোকরানা। বগুড়া-২ বৃহত্তর জোট হলে নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না। এ ছাড়া বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় এ কে এম হাফিজুর রহমান ও উপজেলা চেয়ারম্যান মীর শাহ আলম। বগুড়া-৩ আবদুল মোমিন তালুকদার খোকা ও আবদুল মুহিত তালুকদার, বগুড়া-৪ জেড আই এম মোস্তফা আলী ও ডা. জিয়াউল হক মোল্লা। বগুড়া-৫ জানে আলম খোকা ও জি এম সিরাজ। বগুড়া-৬ বেগম খালেদা জিয়া। বগুড়া-৭ বেগম খালেদা জিয়া বা তারেক রহমান।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ শাহীন শওকত ও মো. শাহজাহান মিয়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আমিনুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ হারুনুর রশিদ, নওগাঁ-১ ডা. সালেক চৌধুরী, নওগাঁ-২ সামছুজ্জোহা খান ও খাজা নাজীমউল্লাহ চৌধুরী, নওগাঁ-৩ প্রয়াত আখতার হামিদ সিদ্দিকীর ছেলে পারভেজ আরেফিন সিদ্দিকী, নওগাঁ-৪ (মান্দা) শামছুল আলম প্রামাণিক বা আবদুল মতিন, নওগাঁ-৫ (সদর) কর্নেল (অব.) আবদুল লতিফ খান, নওগাঁ-৬ সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবির, আনোয়ার হোসেন ও মামুন চৌধুরী স্টালিন।
রাজশাহী-১ ব্যারিস্টার আমিনুল হক, রাজশাহী-২ মিজানুর রহমান মিনু, রাজশাহী-৩ কবির হোসেন ও মতিউর রহমান মন্টু, রাজশাহী-৪ সাবেক এমপি আবু হেনা এবং এম এ গফুর, রাজশাহী-৫ নাদিম মোস্তফা, সিরাজুল হক, নজরুল ইসলাম ও মাহমুদা হাবিবা, রাজশাহী-৬ আজিজুর রহমান, আবু সাঈদ চাঁদ ও দেবাশীষ রায় মধু।
নাটোর-১ প্রয়াত ফজলুর রহমান পটলের স্ত্রী কামরুন্নাহার শিরিন, তাইফুল ইসলাম টিপু ও অ্যাডভোকেট আসিয়া আশরাফি পাপিয়া, নাটোর-২ অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, নাটোর-৩ কাজী গোলাম মোর্শেদ, নিহত উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুর স্ত্রী মহুয়া নূর কচি ও জন গোমেজ, নাটোর-৪ অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, মোজাম্মেল হক ও সাবেক সচিব আবদুর রশীদ সরকার।
সিরাজগঞ্জ-১ আবদুল মজিদ ও কণ্ঠশিল্পী কনকচাঁপা, সিরাজগঞ্জ-২ ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বা রোমানা ইকবাল মাহমুদ, সিরাজগঞ্জ-৩ আবদুল মান্নান তালুকদার ও সাইফুল ইসলাম শিশির, সিরাজগঞ্জ-৪ আকবর আলী। জামায়াতের মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানও এ আসনে প্রার্থী হতে পারেন। সিরাজগঞ্জ-৫ আমিরুল ইসলাম খান আলিম ও রফিকুল করিম খান পাপ্পু, সিরাজগঞ্জ-৬ প্রয়াত ডা. আবদুল মতিনের ছেলে ডা. এম এ মুহিত, গোলাম সারোয়ার