আমার অফিসের মোবাইল পানিতে পড়েছিলো, স্ত্রী’র নয় : ইউএনও মাদারগঞ্জ

0
49

আমার অফিসের মোবাইল পানিতে পড়েছিলো, স্ত্রী’র নয় : ইউএনও মাদারগঞ্জ

জি নিউজ ডেস্কঃ জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়ে সেলফি তুলতে গিয়ে ইউএনওর স্ত্রীর স্মার্টফোন পানিতে পড়ে যাওয়া ও একজন ডুবুরিসহ ৬’জন ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তার কয়েক ঘণ্টা চেষ্টায় উদ্ধার শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা পুরোপুরি সত্য নয় বলে দাবি করেছেন জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আমিনুল ইসলাম।

মাদারগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, স্থানীয় এক সাংবাদিক আমার স্মার্টফোন হারানো প্রসঙ্গে ভুল সংবাদ প্রচার করেছে। পানিতে পড়ে যাওয়া স্মার্টফোনটি আমার অফিসিয়াল কাজে ব্যবহারের ফোন। এটা আমার স্ত্রীর নয়।

প্রকৃত ঘটনা সম্পর্কে ইউএনও আমিনুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার বিকাল ছয়টার দিকে আমার উপজেলার সবচেয়ে দূরবর্তী ইউনিয়ন সিধুলী ইউনিয়নের চরলোটাবর গ্রামে বন্যা পরিস্থিতি দেখতে যাই। আমার স্ত্রী বাসায় একা থাকার কারনে তাকেও আমার সঙ্গে নিয়ে যাই।

ওই গ্রামে একটি নতুন ব্রিজ হয়েছে সেখানে একটু থামি। তখন সন্ধ্যা আনুমানিক পৌনে ৮টা বাজে। আমরা কথা বলছিলাম। আমার হাতে থাকা অফিসের স্মার্টফোন টি আচমকা পড়ে যায়। আশ্চর্যজনকভাবে মোবাইলটি বন্যার পানিতে পড়ে যায়। মোবাইলটিতে গুরুত্বপূর্ণ সব ফোন নম্বর থাকায় আকস্মিক এই ঘটনায় কি করব বুঝতে পারছিলাম না। কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে কিছুক্ষণ পর স্থানীয় চেয়ারম্যানকে ফোন করে বিষয়টা জানালে, চেয়ারম্যান সাহেব বললেন, স্থানীয় কাউকে দিয়ে মোবাইল উঠাতে গেলে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে, আপনি ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতা নেন । চেয়ারম্যানের কথায় আমি মাদারগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় আগামীকাল সকালে একজন ডুবুরিসহ লোকজন পাঠাবে বলে জানায়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, পরেরদিন শুক্রবার সকালে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আমার অফিসের স্মার্টফোনটি উদ্ধার করেন।স্থানীয় চেয়ারম্যান এ ঘটনায় খুশি হয়ে তাদের তিন হাজার টাকাও উপহার দেন। তিনি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের বলেন, আপনারা একটা অসাধ্য কাজ সাধন করেছেন।

স্মার্টফোনটি সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি মাদারগঞ্জএ যোগদানের আগে থেকেই অফিসে এই মোবাইল ফোনটি ছিল। এটা স্যামসাং গ্যালাক্সি সিরিজের একটা নরমাল মোবাইল। স্থানীয় এক সাংবাদিক আমার সঙ্গে কথা না বিস্তারিত না জেনে ভুল তথ্য উপস্থাপন করে এই সংবাদ প্রকাশ করেছে। মোবাইলটি আমার অফিসের ছিল,আমার স্ত্রীর ছিল না।মোবাইলে গুরুত্বপূর্ণ অনেক কিছু ও ফোন নাম্বার থাকাতেই ফায়ার সার্ভিস ডেকে মোবাইলটি উদ্ধার করা হয়েছে।

আপনার মতামত প্রকাশ করেন

আপনার মন্তব্য দিন
আপনার নাম এন্ট্রি করুন