গাজীপুর: আজ ৭ মে সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপির ১৬তম শাহাদৎ বার্ষিকী। প্রতি বছর বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার মাঝে গাজীপুর সহ দেশে পালন করা হতো এই দিনটিকে।
এই বছর বৈশ্বিক মাহামারি কোভিড-১৯ করোনাভাইরাসের কারণে সকল কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। সিমিত আকারে কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।তার মধ্যে শুধু নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে খাদ্য ও উপহার সামগ্রী বিতরণসহ কুরআন খানি ও মসজিদে মসজিদে দোয়া মাহফিলের কর্মসুচি গ্রহণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ৭ মে সকালে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের নিজ বাড়ি হায়দরাবাদ গ্রামে তার কবরে পরিবারের পক্ষ থেকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। কোরআন খতম, দোয়া ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এছাড়াও শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের অনুসারীরা ছোট আকারে নামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে গরীব ও অসহায় তৃর্ণমূল মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেন।
শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের বড় ছেলে ও শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্মৃতি পরিষদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি তার পিতার ১৬তম শাহাদৎ বার্ষিকীতে সকল কর্মসূচি বাদ দিয়ে সবাইকে তার পিতা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের জন্য দোয়া করার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন।
প্রষঙ্গত, শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার গাজীপুর-২ (গাজীপুর সদর-টঙ্গী) আসন হতে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে দুইবার সংসদ সদস্য, ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে দু’দফা পূবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য, শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। আহসান উল্লাহ মাস্টার শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সস্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।২০০৪ সালের ৭ মে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে একদল সন্ত্রাসী টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্বেচ্ছাসেবক লীগের একটি কর্মীসভা চলা অবস্থায় প্রকাশ্যে দিবালোকে আহসান উল্লাহ মাস্টারকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরে ২০০৫ সালের ১৬ মে এই মামলার রায়ে ২২ জনের ফাঁসি ও ৬জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়।২০১৬ সালের ১৫ জুন হাইকোর্ট ডিভিশন আসামীদের ডেথ রেফারেন্স , জেল আপীল ও আবেদনের শুনাণি শেষে ৬ জনের মৃত্যুদন্ড বহাল এবং ৮ জনের যাবজ্জীবন বহাল রেখে ১১ জনকে খালাস দেয়। বিচার চলাকালে ২জন আসামী মারা যাওয়ায় তাদের আপীল নিষ্পত্তি করে দেয়া হয়। যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত একজন পলাতক আসামীর আপিল না থাকায় তার ব্যাপারে আদালত পূর্বের রায় বহাল রাখে।