ঈদের তিন দিন আগে থেকে মহাসড়কে সব ধরনের ট্রাক, লরি, কাভার্ড ভ্যান চলা নিষেধ। তবে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস, পচনশীল দ্রব্য, গার্মেন্টস ও ওষুধ বহনকারী যানবাহন এই নির্দেশনার বাইরে থাকবে।গাজীপুরে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের একথা জনান, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মন্ত্রী ঢাকা–টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রায় চার লেনের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন।
শনিবার (১৯ মে)গাজীপুরের কালিয়াকৈরের সূত্রাপুর এলাকায় সাসেক প্রজেক্টের কন্ট্রাক্টরস কার্যালয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের যানজট নিরসনকল্পে করণীয় বিষয়ে সড়ক বিভাগ, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যোগ দেন।এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, সাসেক প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক মো. ইসহাক, সড়ক ও জনপথের ঢাকা বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান।
সাসেক্স প্রকল্পের অফিসে অনুষ্ঠিত সভায় চলমান রমযান ও আসন্ন ঈদে সড়ক ও মহাসড়কে যানচলাচলে জনগনের ভোগান্তি কমাতে ও যানজটমুক্ত যাতায়াত নিশ্চিত করনে কতিপয় সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর মধ্যে-
১. অতিসত্বর ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার মেরামত। (যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে দরকার হলে রাতে কাজ করা হবে)।
২. যানজট নিরসনে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হবে।
৩. জনগনের ভোগান্তি হ্রাসে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ, সড়ক ও জনপদ বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগ একযোগে কাজ করবে।
৪. ট্রাফিক আইন প্রয়োগ জোড়দার করা হবে।
৫. ঈদুল ফিতরের ৩ দিন আগ থেকে সড়ক ও মহাসড়কে ভারী লরি ও ট্রাক ( জরুরি খাদ্য ও ঔষধ বহন ছাড়া) চলাচল বন্ধ থাকবে।
এ সময় ওবাইদুল কাদের বলেন, আগামী ৮ তারিখের মধ্যে রাস্তার সব ধরনের মেরামতের কাজ শেষ করে সেটি সচল রাখার দায়িত্ব প্রকৌশলীদের দেওয়া হয়েছে। চন্দ্রার চার লেন তৈরির কাজও জুনের ৮ তারিখের মধ্যে শেষ হবে।