জি নিউজ ডেস্কঃ আপাতদৃষ্টিতে মহাজোটের ঐক্য এখনো অটুট। আসন ভাগাভাগি নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টির দেন দরবার এখনো চলছে। তবে সূত্রের খবর, এরশাদ এখনো স্থির সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি যে, তিনি শেষ পর্যন্ত মহাজোটে থাকবেন নাকি আলাদাভাবে নির্বাচন করবেন। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে দেশের একাধিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে বসেন প্রধানমন্ত্রী। সে সময় গত ৫ নভেম্বর এরশাদ ৩৩ জনের একটি দল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। গণভবনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে জাতীয় পার্টি ইঙ্গিত দিয়েছিল, আগামী নির্বাচনের জন্য তারা ৩০ থেকে ৩৩টি আসন চায়। জাতীয় পার্টির দাবি মাথায় রেখে এরপর ৫০ থেকে ৭০টি আসন শরিকদের জন্য বরাদ্দ রেখে দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়নের একটি ছক এঁকে ফেলেছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু যে মুহূর্তে বিএনপি নির্বাচনে আসার ঘোষণা দিল সে মুহূর্তেই দেখা গেল পাল্টে গেছে এরশাদের জাতীয় পার্টি। এখনো চলছে আসন নিয়ে দেন-দরবার। সূত্র বলছে, জাতীয় পার্টির অনেকে ইতিমধ্যে বিএনপির একজন বড় নেতা যিনি একসময় জাতীয় পার্টিরও বড় নেতা ছিলেন তার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন। অপরদিকে বিএনপির পক্ষ থেকেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। বিএনপির এই নেতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। তিনি এক সময় জাতীয় পার্টির নেতা ছিলেন এবং স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের পতনের সময় দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে সুযোগসন্ধানী এরশাদের এই নতুন অবস্থান রাজনীতির ময়দানে নতুন সমীকরণের সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সূত্র জানায়, এরশাদের মূল সমস্যাটা হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে মঞ্জুর হত্যা মামলা রয়েছে। এ কারণে বরাবরই তিনি নির্বাচনে কোন পক্ষ নেবেন সেটা নিশ্চিত করার আগে দেখেছেন কাদের ক্ষমতায় যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যাদের ক্ষমতায় যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি তাদের দিকেই ঝুঁকে পড়েন এরশাদ। বিএনপির একাধিক নেতা বলছেন, এরশাদের সঙ্গেও কথাবার্তা চলছে। আমরা আশাবাদী যে এরশাদ শেষ পর্যন্ত এমন একটি সিদ্ধান্ত নেবেন যেটা বিএনপির জন্য লাভজনক হবে এবং মহাজোটের জন্য হবে বিব্রতকর।সুত্রঃ বাংলাদেশ জার্নাল।