জি নিউজ ডেস্কঃ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংলাপ ফলপ্রসূ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দাবিগুলো শেখ হাসিনার পক্ষে মানা সম্ভব নয়। তাই সংলাপটি ফলপ্রসূ হবে বলে আমার মনে হয় না। শেখ হাসিনার পদত্যাগসহ অনেক কিছু চেয়েছে তারা। আওয়ামী লীগ বলেছে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে কিন্তু জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট চেয়েছে সংবিধানের বাহিরের অনেক কিছু।বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুরে একদিনের সফরে এসে পর্যটন মোটেলে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির নির্বাচনে অংশ নেওয়া সম্পর্কে এরশাদ বলেন, খালেদা জিয়া জেলে, তারেক রহমান দেশের বাহিরে। দলে নেতৃত্ব দেবে কে- এই প্রশ্ন এখন সবার মনে। ফখরুলকে দেখি ঐক্যজোটের সঙ্গে। ড. কামাল বিএনপির নেতৃত্ব দিতে পারেন না। বিএনপি এখনও বলেনি তারা নির্বাচনে অংশ নেবে কি না।জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহার নিয়ে এরশাদ বলেন, ইভিএম পরীক্ষিত নয়। এটি আমরা সন্দেহের চোখে দেখি। ইভিএম দিলে কারচুপির ঘটনা ঘটতে পারে। তাই জাতীয় পার্টি এর পক্ষে নেই।আগামী ৫ নভেম্বর আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টির সংলাপের ব্যাপারে এরশাদ বলেন, আমি একাই আওয়ামী লীগ নেত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করব। এটা ঠিক সংলাপ নয়। কোন আসন চাইতে হবে, কোনটা চাইতে হবে না সেটা আমার চেয়ে ভালো কেউ জানে না।জাপা চেয়ারম্যান বলেন, সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচন আমরা চাই। সেটা হবে কি না আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। এখন জাতীয় পার্টি ছাড়া আর অন্য কোন বৃহৎ দল নেই। যেসব ছোট দল আছে তাদের দ্বারা সরকার গঠন বা পতন সম্ভব নয়। শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের মাঠে রয়েছে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি।রংপুরের ৬টি সংসদীয় আসন নিয়ে তিনি বলেন, রংপুরের ৬টি আসনের মধ্যে ৪টি আওয়ামী লীগের দখলে রয়েছে। আমরা আসনগুলো ফেরত চাইবো। রংপুরের আসনে হাত দিতে দেব না। জোটগত নির্বাচনে যেখানে লাঙ্গল থাকবে সেখানে নৌকার প্রার্থী থাকতে পারে না। এনিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা বৈঠক করা হবে।এ সময় উপস্থিত ছিলেন রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ফখর-উজ-জামান জাহাঙ্গীর, প্রেসিডিয়াম সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর খালেদ আক্তার, জাপা নেতা মোস্তফা সেলিম বেঙ্গল, মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসির আহমেদ, অ্যাড. মোকাম্মেল হোসেন চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।