কনকনে শীতে শায়েস্তাগঞ্জে শীতবস্ত্র বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে!
এম হায়দার চৌধুরী, শায়েস্তাগঞ্জ থেকে:: সারাদেশের ন্যায় হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলাতেও জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। পৌষের মাঝামাঝিতে শীত কাঁপন ধরাবে এটাই স্বাভাবিক। তবে, বৈরী আবহাওয়ার কারণে এবার শীতের আগমন কিঞ্চিত বিলম্বিত হলেও তীব্রতা কিন্তু কমেনি বরং বেড়েছে।
শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় শীতের হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করেছে, এরসাথে পাল্লা দিয়ে বিক্রি হচ্ছে নতুন পুরাতন শীতবস্ত্র। ইতোমধ্যেই নামীদামী বিপণী বিতানের পাশাপাশি ফুটপাতের অস্থায়ী দোকানগুলোতেও শীতবস্ত্র বিক্রির ধুম পড়েছে। বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতির কারণে দ্রব্যমূল্যের অপ্রতিরোধ্য ঊর্ধ্বগতির প্রভাব পড়েছে নতুন-পুরাতন শীতবস্ত্রে। সঙ্গত কারণেই শীতবস্ত্র কেনাকাটায় সবাই মূল্য ও সাধ্যের মধ্যে সমীকরণ করার চেষ্টা করছেন।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শায়েস্তাগঞ্জ পৌর এলাকার ফুটপাতে, সড়কের পাশে, নতুনব্রিজ এলাকার গোল চত্বরে ও পরিত্যক্ত রেল লাইনের উপরে বাহারি রঙের ও ডিজাইনের নতুন-পুরাতন শীতবস্ত্রের পশরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। আলাপকালে পুরাতন বস্ত্র ব্যবসায়ী ফজলু বলেন, শীত পড়ার সাথে শীতবস্ত্র বিক্রি বেড়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় শীত যেহেতু বাড়ছে, সেহেতু বিক্রি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গেল বছরের তুলনায় এবার দাম একটু বেশি হলেও বিক্রি কমেনি।
শীতবস্ত্র ক্রয় করতে আসা হুমায়ুন বলেন, প্রত্যেক বছরই শীতের কাপড় কিনতে হয়, এ বছরও কিনতে হবে। এখনো কেনা হয়নি, দাম যাই হোক দেখেশুনে কিনে নেবো। কারখানা নরী শ্রমিক রেহানা বেগম বলেন, অস্থায়ী দোকানে শীতের কাপড় কিনতে এসেছি। তবে, গত বছরের তুলনায় দাম একটু বেশী। গত বছর যে কাপড় একশ টাকায় বিক্রি হয়েছে, তা, এ বছর দুইশ টাকা চায় দামাদামী করলে দেড়শ টাকায় কেনা যাবে।