নিজস্ব প্রতিনিধি : গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা থেকে অপহৃত হওয়া তিন শিশুকে নয় দিন পর চট্রগ্রাম থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৪ মে) চট্রগ্রাম থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। অপহরণের সাথে জড়িত থাকায় দুই শাশুড়িসহ তাদের এক জামাতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো, কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর থানার পশ্চিম আবদুল্লাহপুর গ্রামের মোঃ সামসুদ্দিনের ছেলে মোস্তফা কামাল (২৫) এবং শাশুড়ি একই থানার দাড়িয়াকান্দি গ্রামের আব্বাস আলীর স্ত্রী সোহেনা (৩৮) এবং তার চাচী শাশুড়ি মোঃ শিশু মিয়ার স্ত্রী রিতা (৩৫)। গ্রেফতারকৃতরা গাজীপুরের টঙ্গীর পূর্ব আরিচপুর এলাকায় ভাড়া থাকে।
কাপাসিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক অপহৃত স্বজনদের বরাদ দিয়ে জানায়, গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার বারিষাব ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের বেকার তিন কিশোর মোখলেছুর রহমানের ছেলে সহিদ (১৫), একই এলাকার মোঃ দুলাল মোড়লের ছেলে মোঃ ইকবাল মোড়ল (১৭) ও ফরিদ মিয়ার ছেলে মোঃ সোহাগ মিয়া (১৮) বেশ কিছুদিন ধরে কাজ খোঁজতে ছিলো। হঠাৎ তাদের সঙ্গে মোস্তফা কামালের পরিচয় হয়।
ওই পরিচয়ের সূত্রধরে মস্তোফা কামাল বেকার কিশোরদের জুতা তৈরীর কারখানায় চাকুরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ১৫ মে দুপুরের দিকে তাদেরকে যাত্রীবাহী বাসে উঠিয়ে কাপাসিয়া থেকে টঙ্গীর পূর্ব আরিচপুর এলাকায় সুকৌশলে নিয়ে যায়। সেখানে মস্তোফা কামল ও তার সহযোগিরা একটি বাসায় কিশোরদের আটকে রেখে মারধর করে মুক্তিপণ দাবী করে। তাদের পরিবারকে জানায়, সড়ক দুর্ঘটনায় তিন জন মারাত্মকভাবে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে। তাদের বাঁচাতে চাইলে তারা তাড়ি টাকা পাঠাতে হবে। তাদের কথা অনুযায়ী ওই তিন অভিভাবক অহরণকারীদের পাঠানো বিকাশ নম্বরে ২১ হাজার টাকা পাঠায়।
পরবর্তী সময়ে অপহরণকারীরা আবার টাকা দাবী করলে। তাদের স্বজনদের সন্ধেহ হয় তারা বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। তিন কিশোরেরর কোন সন্ধান না পেয়ে ১৯ মে অপহৃত সোহাগের বাবা ফরিদ মিয়া কাপাসিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।পুলিশের তৎপরতা টের পেয়ে অপহরণকারীরা তিন কিশোরকে চেতনা নাশক দ্রব্য সেবন করিয়ে টঙ্গী থেকে চট্রগ্রামে নিয়ে যায়।
কাপাসিয়া থানার মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মনির হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ পুলিশের একটি টিম বুধবার ভোররাতে টঙ্গীর পূর্ব আরিচপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে সোহেনা ও রিতাকে গ্রেফতার করে।গ্রেফতারকৃতদের দেয়া তথ্য ভিত্তিতে ও মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে পুলিশ বৃহস্পতিবার সকালে চট্রগ্রাম কতোয়ালী থানার সুজাকাঠঘর এলাকা হতে অপহরণকারী চক্রের মূলহোতা মস্তোফা কামালকে গ্রেফতার করে। এসময় তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই এলাকার টিনসেডের একটি পরিত্যক্ত কক্ষ থেকে ওই তিন কিশোরকে উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানাগেছে গ্রেফতারকৃতরা অপহরণকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য।