কাপাসিয়ায় গরু চুরির হিড়িক,প্রতিরোধ/প্রতিকারের দাবিতে মানববন্ধন
শামসুল হুদা লিটন, কাপাসিয়া (গাজীপুর) থেকে
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় প্রায় প্রতি রাতে গরু চুরির ঘটনা ঘটছে। কৃষকের গরু চুরির যেন হিড়িক পড়েছে।
গরু চুরি প্রতিরোধের দাবিতে ১৯ নভেম্বর, শনিবার দুপুরে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তাজউদ্দীন আহমদ চত্বরে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা ডেইরি খামারীদের আয়োজনে মানববন্ধন শেষে স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন খামারি ও কৃষকরা। মানববন্ধনে বক্তারা জানান, সম্প্রতি প্রায় প্রতি রাতেই উপজেলার কোনো না কোনো গ্রাম থেকে গরু চুরি হয়ে যাচ্ছে। রাতের বেলা পাহারা দিয়েও খামারী ও কৃষকরা চোরের হাত থেকে রক্ষা করতে পারছেন না তাদের লাখ লাখ টাকার গরু। গরুচোরেরা এখন এতটাই শক্তিশালী হয়ে উঠেছে যে ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ সংখ্যায় বেশি হলেও রুখে দাঁড়াতে পারছে না।
গত তিন মাসে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে প্রায় শতাধিক গরু চুরি হয়ে গেলেও থানা পুলিশ একটি চোরও ধরতে পারছেন না। এমনকি গরু চুরি হয়ে গেলে কৃষক ও খামারিরা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। লাখ লাখ টাকার গরু হারিয়ে এখন অনেক খামারী ও কৃষক পথে বসে গেছেন। তাই এ বিষয়ে তারা জরুরি ভিত্তিতে পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। গরু চুরি যাওয়া একাধিক ভুক্তভোগী জানান, আমরা চোরকে পাহারা দেই না,চোর চক্র উল্টো আমাদের পাহারা দেয়। আমরা কখন কি করি না করি সেটা তারা খেয়াল রাখে। গভীর রাত পর্যন্ত পাহারা দিয়ে অল্প সময় একটু ঘুমালে এই ফাকে গরু নিয়ে যায়। গাজীপুরের মধ্যে কাপাসিয়া উপজেলায় সব থেকে বেশি খামারি রয়েছে। পুষ্টির চাহিদাও সব থেকে বেশি মেটানো হয় এই কাপাসিয়া থেকে। তবে এখন চুরি যাওয়ার ভয়ে গরু পালনের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। সংসারের উন্নয়নের জন্য গরু পালন লাভজনক হলেও সব হারানো ভয়ে এখন আর পালন করার আগ্রহ নেই অনেকের। আর চুরি রোধে উন্নত প্রযুক্তি ব্যাবহারের সামর্থ নেই অনেকের।
উল্লেখ যে, সম্প্রতি উপজেলার চান্দুন গ্রাম থেকে ৫ টি,পাবুর গ্রাম থেকে ৭ টি,বাঘিয়া গ্রাম থেকে ৮ টি,রায়েদ মধ্যপাড়া থেকে ৩ টি,হাইলজোড় থেকে ২ টি,ভাকোয়াদি থেকে ৪টি,কোটবাজালিয়া থেকে ১৩ টি গরু চুরি হয়।
কাপাসিয়া থানার ওসি এএফএম নাসিম জানান, ইতোমধ্যে রাতের বেলা তারা পুলিশের টহল বাড়িয়েছেন। তাছড়া সকল ইউনিয়ন বিট পুলিশের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে পাহারা জোরদার করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অচিরেই সকলের সম্মিলিত অংশগ্রহণে গরু চুরি প্রতিরোধ সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।