নিজস্ব সংবাদদাতা, গাজীপুর।।
গাজীপুরের কাপাসিয়ার গরু চোর সন্দেহে অজ্ঞাত দুই যুবক গণপিটুনিতে নিহত হয়েছে।
আজ শুক্রবার ভোররাত ২:৩০ টার দিকে উপজেলার সিংহশ্রী ইউনিয়নের নামিলা গ্রাম ও পাশ্ববর্তী বড়িবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
কাপাসিয়া থানার ডিউটি অফিসার এস আই আরিফ হোসেন গরু চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে দুই জনের মৃত্যুর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানায়, আজ শুক্রবার ভোর রাত ২ টার দিকে অজ্ঞাত চার যুবক এলাকায় ঘুরাঘুরি করার সময় গ্রামের লোকজনের কাছে প্রশ্নের সন্মুখিন হয়। তাদের পরিচয় জানতে চাইলে ছুটাছুটি করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এতে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে দুজন মারা যার। বাকী দুজন পালিয়ে যায়।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাতে নামিলা গ্রামের ছামাদ মিয়ার গরু চুরি হয়। একইভাবে উপজেলা থেকে অনেক কৃষকের গোয়াল ঘর থেকে গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় এলাকার লোকজন সচেতনতা তৈরি করে। রাতের অন্ধকারে গাড়ি নিয়ে ঘুরাঘুরি করার সময় উত্তেজিত জনতার হাতে চোর সন্দেহে দুই জন নিহতের ঘটনা ঘটেছে।
লাশ উদ্ধার করে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেছে, জানায় পুলিশ।
এদিকে, গত ৭ মার্চ রাত তিনটার দিকে কাপাসিয়া উপজেলার সিংহশ্রী ইউনিয়নের নামিলা গ্রামে গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে।
ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য রাবেয়া খাতুন ও প্রতিবেশি কৃষক আক্কাস আলীর ছেলে কৃষক আবুল কাশেম মিয়ার বাড়ি থেকে ৪ গরু চুরির এ ঘটনা ঘটে।
কাপাসিয়া থানার সিংহশ্রী ক্যাম্প ইনচার্জ এস আই ইকরামুল হক আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘোয়াল ঘরে তালা ছিলোনা। চুরি হওয়া চারটি গরু খোঁজাখোজি চলছে।
ইউপি সদস্য রাবেয়া খাতুনের স্বামী তারা মিয়া চুরি হওয়ার পর রাবেয়া খাতুন অসুস্থ ছিলো। তাকে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করানো হয়েছে।
তিনি আরো জানান, আমার বাড়ি থেকে তিনটি গরু ও পাশের বাড়ি আবুল কাসেমের বাড়ি থেকে একটি ষাঁড় গরু চুরি হয়। এই গরু চুরির জন্য পুলিশের দায়িত্বের অবহেলাকে দায়ী করেন তিনি।
কৃষক আবুল কাশেম বরাত দিয়ে তারা মিয়া বলেন, সে একজন দরিদ্র লোক। তার সম্বল ছিল একটি গরু। গরুটি চুরি হওয়ায় সে অনেক মর্মাহত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রাত একটা থেকে চারটা পর্যন্ত পুলিশ যদি তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে তাহলে এলাকাবাসীরা মনে করে গরু চুরি রোধ করা সম্ভব।