কালিগঞ্জে স্ত্রী’কে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে প্রকাশের অভিযোগ।
খন্দকার ইব্রাহিম, কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ
এক সন্তানের জননী মিতুকে হত্যার পর নিহতের শশুর বাড়ির লোকজন আত্মহত্যা বলে চালানোর অপচেষ্টা করছে। এমন অভিযোগ করেছেন নিহত মিতুর পরিবারের লোকজন। ঘটনাটি গাজীপুরের কালীগঞ্জের মোক্তারপুর ইউনিয়নের মৈশাইর গ্রামে। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, কালীগঞ্জ উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের মৈইশার গ্রামের অজিত চন্দ্র দেবনাথের ছেলে রাজীব চন্দ্র দেবনাথ পার্শ্ববর্তী নোয়াপাড়া গ্রমের সুনীল চন্দ্র দেবনাথের মেয়ে মিতু রানি দেবনাথকে ভালোবেসে বিয়ে করেন। বিয়ের দুই বছরের মধ্যে তাদের সংসারে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। সন্তান জন্মের পর থেকে বেরিয়ে আসে রাজিবের আসল চেহারা। সে এলাকার বখাটে ছেলেদের সাথে মিশে চলে যায় নেশার জগতে। নেশার টাকা জোগার করতে শুরু করে যৌতুকের জন্যে মিতুর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। পারিবারিকভাবে একাধিকবার বসে কয়েক দফায় রাজিবকে মিতুর পরিবার দশ লাখ টাকা যৌতুকও দেয়। তাতে কিছু হয়নি রাজিব ও তার পরিবারের। যৌতুকের আরও টাকার জন্যে মিতুকে পিটিয়ে ও গলা টিপে হত্যা করে।
নিহত মিতুর বাবা সুনীল দেবনাথ জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর মিতুর শ্বশুর বাড়ি এলাকার রুহুল আমিন নামের এক ব্যক্তি জরুরী কথা আছে বলে আমার বড় ছেলে অজিতকে ফোনে ডেকে নেয়। সেখানে গিয়ে অজিত-মিতুকে খাটের উপর অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকেত দেখে। পরে আমাকে ফোন করলে আমি দ্রæত মিতুর শশুর বাড়ি যাই এবং মিতুকে তার বেডরুমের খাটের উপরে মৃত অবস্থায় দেখি। তার শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে জিজ্ঞেস করলে জানায়, মিতু স্বামীর সাথে ঝগড়া করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু মিতুর মুখের নিচে থুতনির উপরে এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঁঘাতের চিহ্ন দেখে থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘঠনাস্থলে এসে মিতুর লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
কালীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) রাজীব চক্রবর্তী বলেন, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্যে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক অবস্থায় থানায় ইউডি মামলা নেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে