কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি: কালীগঞ্জে হারুন অর রশিদ নামে এক যুবককে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে হাঁতুড়ি ও রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে ওই যুবকের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন এলাকার উচ্ছৃখল যুবক ওবায়দুল ও তার সহযোগীরা। আহত হারুনের মাথায় ৭টি সেলাই দেয়া হয়েছে। হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে তার পিঠের বাম পাশসহ সারা শরীরে লীলাফুলা জখম করা হয়। কালীগঞ্জ উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের ভাটিয়া দিয়াপাড়া এলাকার নির্জন টেকে গত ৭ জুন সন্ধ্যায় ঘটঁনাটি ঘটেছে।
আহত হারুন অর রশিদ মোক্তারপুর ইউনিয়নের পোটান গ্রামের মো. হানিফার ছেলে। সে ছোট বেলা থেকে ভাটিরা গ্রামে তার নানা মৃত একাব্বর আলীর বাড়িতে থাকতেন।
এই সংক্রান্ত বিষয়ে গত ৯ জুন হারুনের বড় ভাই আলী হোসেন বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
আহত হারুন-অর-রশিদ জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত রোববার সন্ধ্যায় ভাটিরা গ্রামের ফয়জুল ইসলামের ছেলে ওবায়দুল তার মোবাইলে ফোন দিয়ে তাকে বাড়ি থেকে বের করে ভাটিরার নির্জন টেকে নিয়ে যায়। আড্ডারত অবস্থায় সন্ধ্যার আগ মুহুর্তে বাছিরের ছেলে সোহাগ একটি হাঁতুড়ি নিয়ে ওবায়দুলকে দেয়। সেই হাঁতুড়ি দিয়ে ওবায়দুল হারুনের মাথায় আঘাত করলে সে মাটিতে লুটে পড়ে। পরে রুহুল আমিন, সোহাগ, ফরজুল, আনজত আলীসহ ওবায়দুল মিলে তাকে রড ও লাঠি দিয়ে এলোপাড়াতিভাবে পিটাতে থাকে। তখন তার ডাকচিৎকারে আশেপাশে লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রো নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হারুনের দুলাভাই মো. সারোয়ার হোসেন বলেন, তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে ওবায়দুল ও তার সহযোগীরা।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আর্শাদ মিয়া বলেন, বুধবার ভাটিরা এলাকায় গিয়ে কোনো আসামিকে পাওয়া যায়নি। আসামিরা পলাতক রয়েছে।