আহাম্মদ আলী, কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি
কালীগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড বাঙ্গালগাঁও এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে সরকারি ৫টি আকাশি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গাছ কাটা নিয়ে এলাকার দুটি গ্রুপে উভয়কে দোষারোপ করে যাচ্ছে। এলাকার কয়েকজন দুস্কৃতিকারী রাতে আঁধারে বড় ও মাঝারি আকারের ৫ টি আকাশি গাছ কেটে ফেলে তা বিক্রি করে দিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
শনিবার সকালে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে ১টি আকাশি গাছ রাস্তার পাশে বিলের পানিতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। আর ৪টি গাছের গোড়ার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। বেশ কিছু দিন ধরে জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নে সরকারি গাছ কাটার প্রতিযোগিতা চলছে। এলাকার কিছু প্রভাবশালী লোক সরকারি গাছ কেটে একে অপরকে ফাঁসাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
সম্প্রতি জাঙ্গালিয়া এলাকা হতে মো. জলিল মাষ্টার এক ব্যক্তি কয়েকটি সরকারি গাছ কাটার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়। এর রেশ কাটতে না কাটতে বাঙ্গালগাঁও এলাকায় ৫টি সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ উঠে ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মো. মোয়াজ্জেম হোসেন পাখির বিরুদ্ধে। কিন্তু ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মো. মোয়াজ্জেম হোসেন পাখি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, সাত বছর ধরে ওয়ার্ড যুবলীগের রাজনীতির সাথে সে সম্পৃক্ত। এই যাবত কোনো ধরনের অপকর্মের সাথে সে জড়িত নয়। সে ষড়যন্ত্রের শিকার। স্থানীয় একটি সিন্ডিকেট তার বিরুদ্ধে মিথ্যে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
এলাকাবাসী জানায়, কিছু দিন আগে স্থানীয় জলিল মাষ্টার কয়েকটি সরকারি গাছ কাটায় তার বিরুদ্ধে স্বাক্ষী দেয় ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মো. মোয়াজ্জেম হোসেন পাখি। এই নিয়ে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। পরে জলিল মাষ্টারের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়।
তাই তাকে ফাঁসানোর জন্য অন্য কেউ গাছ কেটে ওই সিন্ডিকেটের লোকজন পাখির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে পারে বলে স্থানীয়দের ধারণা।
ছোট-বড় সরকারি ৫টি গাছ কাটার সত্যতা স্বীকার করেন জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব মো. কাউছার হোসেন। তিনি বলেন, কে বা কারা গাছগুলো কেটে নিয়েছে তা জানা যায়নি। গাছ কাটার সাথে জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।