ডেস্ক রিপোর্ট : সমাজের বাস্তবতা নিয়ে চমৎকার একটি গল্প,,,
মিম আপুর বিয়ে হয়েছে ১৮ মাস হলো,,
ওনার স্বামী কুয়েত প্রবাসী,, আপু একটি
কওমী মহিলা মাদ্রাসায় লেখা-পড়া করেন
১১ মাস যাবৎ,, ওনার স্বামী’ই ভর্তি
করিয়েছেন,, কিছুদিন আগে আমি আপুর
সাথে গিয়েছিলাম তাদের মাদ্রাসা দেখতে,, আমাকে একটি ক্লাশে নিয়ে গেলেন,, বড়
একটি কক্ষে তিন ক্লাশের ছাত্রীদের কে
একসাথে করে একজন শিক্ষিকা কিছু
বলতেছেন,, সে ক্লাসের নাম নাকি
তা’লিমুল আখলাক,, শিক্ষিকা ওয়াজ
করতেছেন আখলাক বিষয়ের উপর,,
ওয়াজের মাঝে একপর্যায়ে বলতেছিলেন
প্রিয় ছাত্রীরা,, তোমাদের মধ্যে যারা
বিবাহিতা তাদের কে বলছি তোমাদের
স্বামীগণ কত কষ্ট করে অর্থ উপার্জন
করে তোমাদের কে দ্বীনের শিক্ষা দিচ্ছেন,,
তোমরা কত সুখে আছো,, কিন্তু তারা মাথার
ঘাম পায়ে ফেলে শরীরের রক্ত পানি করে
তোমাদের কে এত সুখে রাখছেন,, তোমরা
স্বামীদের কে কখনো কষ্ট দিওনা..!
অনেকের স্বামী বিদেশে শত কষ্ট করেও স্ত্রী
কে সুখে রাখছে,, তোমরা কোনদিন স্বামীর
হক নষ্ট করিওনা,, মনে রেখ তোমার রুপ
যৌবন সব তোমার স্বামীর আমানত,, আর
আমানত খেয়ানত কারী জাহান্নামি,, যদি না
আল্লাহ মাফ করেন,, তোমাদের দেহ
তোমাদের সৌন্দর্য্য সব তোমার স্বামীর হক,,
এগুলো অন্য’কাউকে দেখানো মানে স্বামীর
হক নষ্ট করা,, এমন কি তোমাদের কন্ঠ ও
পর পুরুষের জন্য হারাম,, আর যাদের
স্বামী প্রবাসে রয়েছে তারা মন দিয়ে শুনো,, কারন- আজ সমাজে প্রবাসীদের স্ত্রী নিয়ে
বেশী সমস্যা হচ্ছে,, তোমাদের স্বামী নিজের
সুখ শান্তি সব বিসর্জন দিয়ে মা বাবা ভাই
বোন ছেলে মেয়ে স্ত্রী ছেড়ে অসহায় হয়ে
দিনের পর দিন মাসের পর মাস বছরের
পর বছর এতিমের মত প্রবাসে পরে আছে
তোমাদের সুখের কথা ভেবে,, তোমাদের
মুখে একটু হাসি ফুটাতে,, সেই স্বামীর মনে
যদি কষ্ট দাও তাহলে কিন্তু হাশরের দিনে
বড় আসামী হয়ে যাবে..!
আমি মিম বাসায় এসে চিন্তা করলাম..!!
এমন শিক্ষা যদি দেশের স্কুল কলেজ
ভার্সিটির ছাত্রীদের কে দেওয়া হতো..??
তাহলে দেশে:-
(১) এতো নোংরা পরকীয়া হতো না..!
(২) দাম্পত্যজীবনে এত অশান্তি হতো না..!
(৩) সমাজে এত নোংরামি হতো না..!
(৪) সন্তান রেখে কোন স্ত্রী পর পুরুষের
হাত ধরে পালায়ন করতো না..!
(৫) কোন মেয়ে স্বামীর আমানতের
খেয়ানত করতো না..!
(৬) স্বামীর হক অন্যকে বিলিয়ে দিতো না..!
প্রতিটি সংসার হতো সোনার সংসার যেন
জান্নাতের এক একটি টুকরো..! আল্লাহ্
তা’য়ালা আমাদের কবুল করুন..! আমিন.!!