জি নিউজ ডেস্কঃ কুকুরে কামড়ালে জলাতঙ্ক রোগ হয়। জলাতঙ্ক রোগকে হাইড্রোফোবিয়া, লাইসা এবং পাগলা রোগও বলা হয়। এ রোগে আক্রান্ত হলে মৃত্যু নিশ্চিত! বিভিন্ন প্রাণির কামড়ে এই রোগ হলেও আমাদের দেশে সচরাচর কুকুর ও বিড়ালের মাধ্যমে এই রোগ হয়।
সাধারণত রোগটি জলাতঙ্ক ভাইরাস সংক্রমিত প্রাণির লালার মাধ্যমে ছড়ায়। তাই কুকুরে কামড়ালে আমাদের করণীয় কি তা জানা আবশ্যক। চলুন জানা যাক:
১।ক্ষতস্থানে পরিষ্কার পানি ঢালুন: কুকুরে কামড়ালে ক্ষতস্থানটিতে দ্রুত গতিতে পরিষ্কার পানি ঢালুন। ক্ষারীয় সাবান (কাঁপড় ধোয়ার সাবান) দিয়ে পরিষ্কার করুন। এতে ব্যাকটেরিয়া ও অন্যান্য জীবাণুর সংক্রমণ কমবে।
২।রক্ত ঝরলে: ক্ষতস্থান থেকে রক্ত ঝরলে চেপে ক্ষতস্থানের রক্ত বের করে দিতে পারেন। তারপর দ্রুত রক্তপাত বন্ধ করতে ব্যবস্থা নিবেন।
৩।জীবাণুরোধী ক্রিম ব্যবহার: জীবাণুরোধী বা এন্টিবায়োটিক ক্রিম লাগান। এতে জীবাণুর সংক্রমণ কম হবে।
৪।ব্যাণ্ডেজ লাগান: এন্টিবায়োটিক ক্রিম ব্যবহারের পর প্রয়োজনবোধে ব্যাণ্ডেজ ব্যবহার করতে পারেন।
৫।ডাক্তার: ডাক্তারের কাছে যান। দ্রুত টিটেনাসের টিকা দেয়ার প্রয়োজন পড়তে পারে। পাশাপাশি অবশ্যই জলাতঙ্কের টিকা নিবেন।
কুকুরে কামড়ালে আমরা অনেকে ওঝার কাছ থেকে গুঁড় বা মিঠাই পড়া নেই। অনেকের মুখে শুনেও থাকবেন যে ওঝার গুঁড় পড়া নিয়ে সুস্থ হয়েছেন! আসলে সকল কুকুর, বিড়াল বা প্রাণির লালায় জলাতঙ্ক ভাইরাস থাকে না। আবার যখন কুকুর কামড় দিয়েছে তখন হয়ত ভাইরাস আপনার ক্ষতস্থানে যায়নি বা লালা লাগেনি। এসবক্ষেত্রে ওঝার কাছে না গেলেও জলাতঙ্কে আক্রান্ত হতেন না।
মনে রাখবেন, জলাতঙ্কে আক্রান্ত হলে মৃত্যু নিশ্চিত। তাই অবশ্যই ডাক্তারের কাছে গিয়ে ডাক্তারের পরামর্শমত টিকা নিবেন।