খুলনার দাকোপে ঝুকির মুখে বেড়ীবাদ

0
54
কে, এম, আজগর হোসেন ছাব্বির: দাকোপ, খুলনা থেকে। জি নিউজ ডেস্কঃ খুলনার দাকোপ উপজেলার কয়েকটি এলাকা চলমান আমাবশ্যার গোনে দাকোপের নদনদীতে জোয়ারে অস্বাভাবিক পানিবৃদ্ধি পেয়েছে। আইলা ক্ষতিগ্রস্থ সুতারখালী ইউনিয়ন মারাত্মক ঝুকির মুখে। এ ব্যাপারে আতংকিত জনসাধারন পাউবোর উপর মহলের দৃষ্টি আকর্ষন করেছে। গত কয়েকদিন চলমান আমাবশ্যার গোনে দাকোপের নদনদীতে অস্বাভাবিকভাবে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলার অধিকাংশ বেড়ীবাধ ঝুকির মুখে। সরেজমিন খোজ নিয়ে জানা গেছে উপজেলার সুতারখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন পয়েন্টে বাঁধ উপছে পানি প্রবেশের উপক্রম হয়েছে। আবার অনেক স্থানে বাঁধে ফাটল দেখা দিয়ে আশংকাজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সুতারখালী ইউনিয়নের অধিন নলিয়ান রেঞ্জ অফিস এলাকা, কালাবগী এম এ মালেকের হ্যাচারী হতে দক্ষিন দিকের কেয়ারের রাস্তা, বৃহস্পতিবাজার এলাকা, গুনারী, কালীবাড়ী, কালাবগী নদবক্স গেট এলাকা, সুতারখালী সানা বাড়ী ও গাজী বাড়ীর সম্মুখ এলাকা, তেলির কোনা বাজার, কালাবগী মডেল বাজার সংলগ্ন উত্তর পাশের রাস্তা ভয়াবহ ঝুকির মুখে আছে। অনুরুপ অবস্থা কামারখোলা ইউনিয়নের জালিয়াখালীসহ একাধীক স্থান। এ দু’টি ইউনিয়ন আইলায় ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় টেকসই বাঁধ নির্মানের কাজ চলছে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে চায়নার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ বাস্তবায়ন করছে। কিন্তু চলমান বর্ষা মৌসুমে অধিকাংশ জায়গায় নির্মান কাজ বন্দ আছে। এ ছাড়া তাদের কাজের মান নিয়ে আছে নানা সমালোচনা এবং ধীর গতির অভিযোগ। প্রকল্প অনুযায়ী আগামী ফেব্রুয়ারী ২০১৯ সালে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা একেবারেই ভিন্ন। এখানে নির্মান কাজ চলমান থাকায় পানি উন্নয়নবোর্ড সেখানে কোন কাজ করবেনা। যে কারনে পরিস্থিতি আইলার মত অবস্থার আশংকা দেখা দিয়েছে। সুতারখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাসুম আলী ফকির জানায়, বেড়ীবাধের বর্তমান উদ্বেগজনক পরিস্থিতির বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের জানিয়েছি, পাশাপাশি বাঁধ রক্ষায় ইউনিয়নের কয়েকটি স্থানে জনপ্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করানো হয়েছে। অপরদিকে উপজেলার তিলডাঙ্গা, পানখালী, বাজুয়া, দাকোপ, বানীশান্তা ও কৈলাশগঞ্জ ইউনিয়নের অনেক স্থান অনুরুপ ঝুকির মুখে। তিলডাঙ্গা ও বানীশান্তা ইউনিয়নের কয়েকটি স্থানে পানি উপচে পড়ার উপক্রম হয়েছে। পানি বৃদ্ধির সময় বাতাসের গতিবেগ সামান্য বৃদ্ধি পেলে এ সকল স্থানের বাঁধ ভেঙে ব্যাপক এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী জরুরী ভিত্তিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকার জনসাধারণ।

কোন মন্তব্য নেই