কে, এম, আজগর হোসেন ছাব্বির: দাকোপ, খুলনা। খুলনার দাকোপে বাদী পরিবারকে মামলা তুলে নিতে প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে আসামীরা। দাকোপে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হামলায় নারীসহ আহতরা এখন হাসপাতালে। মামলা তুলে নিতে বাদীপক্ষকে হুমকি ধামকি অব্যহত রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা মানবাধিকার কমিশন তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা তুলে ধরে বাদীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের কথা বলেছে। থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার পারচালনা গ্রামের দেবব্রত রায়ের সাথে একই এলাকার শশংক মজুমদার গংদের সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে সম্প্রতি হামলার ঘটনা ঘটে। জানা যায় দেবব্রত বিশ্বাসের ১.৭৫ একর বাস্তভিটাসহ বিলান সম্পত্তি দখলে নিতে শশংক গংরা মরিয়া হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি বিবেচনায় দেবব্রত বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে এম,পি ১২২/১৮ নং মামলা দায়ের করে। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৭ মে শশংকের নেতৃত্বে ১০/১২ জন দেবব্রত রায়ের বাড়ীতে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় দেবব্রত বাড়ীতে না থাকায় হামলাকারীরা তার স্ত্রী সুষমা রায়, কন্যা মৌসুমী রায়, ভাই মুকুল এবং ভাতিজা তাপস রায়কে ধারালো অস্ত্র এবং লাঠিসোটা দ্বারা বেধড়ক মারপিট করে রক্তাত্ব জখম করে। শশংক গংরা দেবব্রত রায়ের স্ত্রী কন্যাদের শ্লীলতাহানীসহ স্বর্ণালংকার নগত টাকাসহ প্রায় ২ লাখ টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায়। রক্তাত্ব জখম অবস্থায় প্রতিবেশীরা তাদেরকে উদ্ধার করে দাকোপ হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনার পর মারমুখি শশংক গংরা দেদব্রত রায়কে খুজতে থাকে। এক পর্যায়ে দাকোপ থানা সংলগ্ন এলাকায় তাকে পেয়ে বেপরোয়া বাহিনী উপর্যুপরী প্রকাশ্যে তার উপর হামলা করে। তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ১ জনকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় দেবব্রত রায় বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে। যা দাকোপ থানার মামলা নং ১৯। বাদীর অভিযোগ ঘটনার পর থেকে আসামীরা মামলা তুলে নিতে বাদী ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রকাশ্যে খুন খারাবির হুমকি ধামকি অব্যহত রেখেছে। এ দিকে উপজেলা মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি কমলেশ গোলদার আলোচীত এ মামলার তদন্তে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার দাবী করে বলেন, বাদীপক্ষ বর্তমানে শংকিত। প্রশাসনের কাছে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবী জানা
