গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কে বিশেষ নজরদারীতে বড় হচ্ছে বাঘের শাবক

0
47

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিশেষ নজরদারীর মধ্যেই বড় হচ্ছে বাঘের তিনটি শাবক। এই পার্কের সাফারী জোনে দ্বিতীয় বারের মত একটি মা বাঘিনী গত ৮ আগষ্ট তিনটি শাবকের জন্ম দেয়। তিনটি শাবকের মধ্যে রয়েছে একটি সাদা বাঘ, যা বাংলাদেশে দ্বিতীয়বার জন্ম নেয়। এর আগে এই মা বাঘিনীটিই গত ২০১৭ সালে আরো তিনটি শাবকের জন্ম দিয়েছিল। সব মিলিয়ে সাফারী পার্কে এখন মোট বাঘের সংখ্যা ১২টিতে পৌঁছেছে। এর মধ্যে চারটি পুরুষ ও ৮টি স্ত্রী বাঘ। তবে সাফারী পার্কে সাদা বাঘের জন্ম হওয়া এটিই প্রথম ঘটনা। বাঘ গুলোর দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছে নুরুন্নবী মিন্টু জানান, বাঘ শাবকগুলো মায়ের সাথে সারাদিন ব্যস্ত থাকে খেলাধুলা আর দুষ্টমিতে। বেষ্টনীর জুড়ে মায়ের সাথে ঘুঁরে বেড়াতে পছন্দ করে তাদের। আবার মা বাঘিনী তার শাবকদের কখনও চোখের আড়াল হতে দেয় না। মায়ের চোখ আড়াল হলেই শাবকগুলোকে খুঁজে আনতে পাগল বনে যায় বাঘিনী। শাবকগুলোকে কাছে পেলেই শান্ত হয়। বাঘিনীর চিন্তা গুলোই শাবকগুলোকে নিয়ে। কারণ, কাউকে বিশ্বাস করে না সে। অচেনা কাউকেই দেখলেই রেগে যায় মা বাঘিনী। শাবকগুলোকে নিয়ে বাঘ বেষ্টনীর পর্যবেক্ষনকারীসহ পার্কের সকল কর্মকর্তাদের এমনই আনন্দময় ব্যস্ততা যেন বেড়েই যাচ্ছে। শাবকগুলোর বয়স আড়াই বছর হবে তখনই তাদের দর্শনাথীদের জন্য সাফারী জোনে উন্মুক্ত করা হবে। পার্কের বণ্যপ্রাণী পরিদর্শক আনিসুর রহমান জানান, গত ৮ আগষ্ট একটি মা বাঘিনী তিনটি শাবকের জন্ম দেয় এর মধ্যে রয়েছে একটি সাদা প্রজাতির বাঘ। জন্মের পর থেকেই মা ও তার শাবকরা সুস্থ রয়েছে। তারা নিয়মিত মায়ের দুধ পান করছে আর শাবকদের দুধ পানের কথা বিবেচনা করে মা বাঘিনীকে অতিরিক্ত খাবার দেয়া হচ্ছে। এখন বাচ্চাদেরও খাবার দেয়া হচ্ছে। আবার মায়ের কাছ থেকে যে পরিমাণ খাবার পাওয়ার কথা তা পাচ্ছে কিনা? পেলেও ওদের চাহিদা মোতাবেক হলো কিনা তা দেখভাল করা। পালাক্রমে কাউকে না কাউকে বাঘ বেষ্টনী দেখাশোনা করার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়। সাফারী পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, কর্তৃপক্ষের নিবিড় পর্যবেক্ষনে পার্কে বিভিন্ন প্রাণীদের নিয়মিত বাচ্চা পাওয়া যাচ্ছে। বাঘ শাবকগুলোর আমরা সকলে মিলে বিশেষ খবরদারি করে থাকি। আশা করছি বাঘ থেকে ভবিষ্যতে আরো শাবক পাওয়া যাবে।

কোন মন্তব্য নেই