গাজীপুর মহানগরের ৪২নং ওয়ার্ডের তালটিয়া এলাকায় কিশোরিকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। থানাসুত্রে জানা যায় যে,গত ২৬/০৫/২০২০ইং তারিখে সন্ধ্যা অনুমান ৭.০০ ঘটিকার সময় ভিকটিমের পূর্ব পরিচিত মোঃ সানি মিয়া মোবাইল ফোনে ফোন দিয়ে ভিকটিমকে দেখা করার কথা বলে নাগদা ব্রিজের নিকটে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে সানির বন্ধু শাওন ও ইমন বিয়ের ব্যাপারে আলাপ করবে বলে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে কুপ্রস্তাব দেয়। ভিকটিম প্রস্তাবে রাজী না হওয়ার সুবাদে ভিকটিমকে বাড়ীতে পৌছে দেওয়ার কথা বলে শাওন ও হৃদয় তালটিয়া বাগান বাড়ীর পিছনে জঙ্গলের ভিতর জোড়পূর্বক নিয়ে যায়। পরে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি হৃদয় ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং মোবাইল ফোন ফেরত দিবে বলিয়া ১০,০০০/-(দশ হাজার) টাকা দাবি করে। পরবর্তীতে উক্ত স্থানে তন্ময় ও অপু মন্ডল উপস্থিত হয়। এক পর্যায়ে পাঁচ বন্ধু মিলে শারিরীক সম্পর্ক করার জন্য প্রস্তাব দেয়। বন্ধুদের সহযোগীতায় শাওন ভিকটিমকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে এবং ভিডিও ধারণ করে। উক্ত ঘটনাটি কাউকে বললে ভিডিওটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিবে বলে হুমকি প্রদান করে। পূবাইল থানার এস.আই সাইফুল ইসলাম জানান, ভিকটিমের কান্নাকাটি শুনতে পারিয়া এলাকার লোকজন এগিয়ে যায় এবং আসামী শাওন,তন্ময়, হৃদয়কে অভিযান চালিয়ে আটক করি। পূবাইল থানার অফিসার ইনচার্জ নাজমুল হক ভূইয়া জানান যে,পাঁচ জনকে আসামী করে মামলা করা হয়। তিনজন আসামীকে আটক করে গাজীপুর কোর্টে প্রেরণ করা হয়। বাকী দুইজনকে আটকের চেষ্টা চলছে। আটককৃতরা হলো শাওন (১৮)গাজীপুর জেলার পূবাইল থানাধীন তালটিয়া দক্ষিন পাড়ার ইসলাম মিয়ার ছেলে। হৃদয় হোসেন (১৯)শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী থানার আলগড়া এলাকার দুলাল হোসেনের ছেলে। তন্ময় চন্দ্রশীল (১৮), গাজীপুর জেলার পূবাইল থানাধীন হারবাইদ এলাকার দিপ¦ন চন্দ্রশীল এর ছেলে। পলাতক দুইজন আসামী হলো ইমন (১৬), গাজীপুর জেলার পূবাইল থানাধীন তালটিয়া এলাকার, অপরজন সানি মিয়া (১৯), গাজীপুর জেলার পূবাইল থানাধীন তালটিয়া পূর্ব পাড়ার মৃত রবিউল ইসলামের ছেলে।