গাজীপুরে মরুর দেশের প্রাণী পালনে আশা জাগিয়েছে জামাল উদ্দিন।

0
75

জি নিউজ ডেস্কঃ গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেরার বরমী ইউনিয়নের জামাল উদ্দিন ঢাকার একটি সিকিউরিটি সার্ভিস প্রতিষ্ঠানের পরিচালক,,ছোটকাল থেকেই শখ ছিল এ দেশের আবহাওয়ায় আরবের মরু অঞ্চলের বিভিন্ন প্রাণী পালন করা। ২০১৪ সালে মাত্র ২৬টি দুম্বাসহ বিভিন্ন জাতের মরুর দেশের প্রাণী নিয়ে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরকুল গ্রামে ৩ বিঘা জমির উপর ভবন নির্মাণ করে সেইফ মিট নামের একটি খামার চালু করেন জামাল উদ্দিন। কিন্তু প্রথম বছরেই ২৬টি প্রাণীর মধ্যে ২০টি প্রাণী মারা যায়।

তারপরও তিনি দমে যাননি, ক্ষতি হলেও সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে আবারো শুরু করেন। মনের কষ্ট মনে রেখেই চালিয়েছেন সাধনা, অনেকটা অসাধ্যকে সাধন করে এখন তার মুখে ফুটেছে হাসি। অবশেষে এ দেশের আবহাওয়ায় মরু অঞ্চলের বিভিন্ন জাতের প্রাণী পালনের অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছেন তিনি। গত কয়েক বছর আবহাওয়ার অপ্রত্যাশিত তারতম্যের কারণে বারবার তাকে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার মধ্যে পড়তে হয়েছে। বর্তমানে তার খামারে ৩৫০টি মরু অঞ্চলের বিভিন্ন জাতের দুম্বা, গাড়ল ও বিভিন্ন উন্নত প্রজাতির ছাগল রয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরেই তার খামার থেকে মরুর দুম্বা, গাড়লসহ বিভিন্ন জাতের প্রাণী বিক্রি করা সম্ভব হবে।

জামাল উদ্দিন আহমেদের খামারে ৭ জন শ্রমিক কাজ করেন। তিনি ঢাকায় থাকলেও প্রায় ছুটে আসেন তার খামারে। তিনি জানান, প্রাণীগুলোর প্রাকৃতিক খাবারের জন্য ভাড়া করা জমিতে ঘাস চাষ করছেন। ঘাসের সাথে খড় ও ভূসি মিশিয়ে এসব মরুর প্রাণীদের খাওয়ানো হয়। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ের সাথে যোগাযোগ রয়েছে। জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, তার এ উদ্যোগকে প্রথমে অনেকেই মনে করতো পাগলামি। তার নিজের প্রতি অবিচল আস্থার কারণে প্রাণীগুলোর তৃতীয় প্রজন্মে এসে বেশ ভালোই সফলতা পান তিনি। তিনি আরো জানান, বর্তমানে তার খামারে নিয়মিত বাচ্চা প্রসবসহ স্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটছে প্রাণীগুলোর। সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও উপযুক্ত প্রশিক্ষণ পেলে অনেকেই মরুর প্রাণী পালনে আগ্রহী হবেন এবং দেশের মাংসের চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখতে পারবেন।

কোন মন্তব্য নেই