গাজীপুরে রাবেয়া আনোয়ার নগর মাতৃসদনে চিকিৎসা অবহেলায় প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ

0
456

নিজস্ব প্রতিবেদক গাজীপুরঃ গাজীপুর মহানগরে ৩১ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত রাবেয়া আনোয়ার নগর মাতৃসদনে চিকিৎসা অবহেলায় প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৩১নং ওয়ার্ডে এফ পি এ ডি এনজিও এবং গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন যৌথ ভাবে পরিচালিত রাবেয়া আনোয়ার নগর মাতৃসদনে চিকিৎসকদের অবহেলায় প্রসূতি মা ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ নিহতের পরিবারের।

ঘটনার বিবরণে নিহতের পরিবার ও স্থানীয়দের অভিযোগে জানাযায় গাজীপুর মহানগরের ৩১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আলম মিয়ার স্ত্রী জহুরা বেগম প্রেগন্যান্ট হওয়ার পর থেকে নিয়মিত নগর মাতৃসদন হাসপাতালের চেক-আপ করানো সহ পরামর্শে ছিলো এবং সম্পূর্ণভাবে সুস্থ সময় পার করে যথাসময়ে ১৭/০৪/২০২০ইং শুক্রবার ভোর ৫ টার দিকে প্রসব বেদনা উঠলে স্বজনদের সাথে নিয়ে রাবেয়া আনোয়ার নগর মাতৃসদনে এসে ভর্তি হয় তখন কর্তব্যরত গাইনী ডাক্তার নরমাল ডেলিভারি হবে ব’লে তাদেরকে জানান এবং একপর্যায়ে নরমাল ডেলিভারিতে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়,চিকিৎসকদের বক্তব্য নবজাতক শিশু ভূমিষ্ট হবার পরে কান্না না করায় নবজাতক কে শহিদ তাজ উদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শহিদ তাজ উদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক নবজাতক কে মৃত ঘোষণা করে।
এদিকে সন্তান জন্ম দেয়ার পর প্রসূতির অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে প্রসূতি কে হাসপাতালের গাইনী ডাক্তার ঢাকা রেফার্ড করেন,তখন স্বজনরা ঢাকায় নেয়ার পথে রাস্তায়ই প্রসূতি জহুরা বেগম মারা যায়।

এখন রুগীর স্বজনদের দাবি হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরে সময় মত সঠিক চিকিৎসা ব্যাবস্থা না করায় প্রসূতি এবং নবজাতক দুজনের মৃত্যু হয়।

এ-সব অভিযোগের বিষয়ে ক্লিনিক ম্যানেজার আইরিন হক এবং প্রজেক্ট ম্যানেজার পাপিয়া রহমানের সাথে ফোনে কথা বললে তারা অবহেলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন রুগীকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরে যথাসময়ে সকল প্রকার নিয়ম মেনেই চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং রুগী ও নবজাতকের শারীরিক অবস্থা খারাপের দিকে যাওয়ায় নবজাতককে গাজীপুর সদর এবং প্রসূতিকে ঢাকায় হাসপাতালে রেফার্ড করার ব্যাবস্থা করা হয়।

উল্লেখ থাকে যে হাসপাতালটি চালু করার সময় আধুনিক মানের হাসপাতালের প্রতিস্রুতি থাকা সত্ত্বেও ছয়তলা বিশিষ্ট হাসপাতালটিতে চিকিৎসক ও স্টাফদের খারাপ আচরণ অনৈতিক কার্যকালাপ অক্সিজেন সহ চিকিৎসা সরঞ্জাম না পাওয়ায় এলাকা বাসির মাঝে একাধিকবার বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
এতকিছুর পরও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, এমপির পরিবার এবং মন্ত্রীর সম্মানের দিকে তাকিয়ে এলাকার মানুষ সবকিছু মুখ বুঝে সহ্য করেন। তবে মৌখিক ভাবে একাধিকবার মন্ত্রীর কাছে হাসপাতালের অনিয়ম নিয়ে অভিযোগ করেও কোন সুফল না পাওয়ায় আজকের এ ঘটনা ঘটে বলে এলাকার সাধারণ মানুষ অভিযোগ করেন।
উল্লেখ থাকে যে হাসপাতালটি একটি আধুনিক মানের হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত।

কোন মন্তব্য নেই