নিজস্ব প্রতিবেদক,
গাজীপুরে আ:লীগের প্রতিনিধি সভা মুক্তিযোদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হলেও মুক্তিযোদ্ধা শোক প্রস্তাবে নাম আসেনি জেলার একমাত্র বীর উত্তম খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা আফজাল মিয়ার।
১৯ নভেম্বর গাজীপুর জেলা ও মহানগর আ’লীগের প্রতিনিধি সম্মেলন শহীদ বরকত স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গাজীপুর জেলা আ’লীগের সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি। এবং সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আ’লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি। উক্ত সভায় প্রায় ৩০/৩৫ জন মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ঠ ব্যাক্তিদের নাম উল্লেখ করে শোক প্রস্তাব পাঠ করা হলেও শোক প্রস্তাব তালিকায় জায়গা হয়নি জেলার একমাত্র বীর উত্তম খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা আফজাল মিয়ার। এ নিয়ে দুঃখ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন আফজাল মিয়ার পরিবার।
গাজীপুর মহানগরের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের ভারারুল গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহনকারী মুক্তিযোদ্ধা ও গাজীপুর জেলার একমাত্র বীর উত্তম খেতাব প্রাপ্ত আফজাল মিয়া। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক বাহিনীর আক্রমনে তার একটি চোখ নষ্ট হয়। সারা শরীরে ছিল বোমার স্প্রিন্টার। মুক্তিযুদ্ধের পর কলকাতা ও বাংলাদেশে তার চিকিৎসা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে অন্ধ থাকা অবস্থায় ১৯৯০ সনে তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর পর গ্রামের বাড়ি ভারারুলে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। প্রতি বছর প্রতিটি জাতীয় দিবসে সরকারী লোকজন তার কবর জিয়ারত করে থাকেন।
গাজীপুরের একমাত্র বীরউত্তম মরহুম আফজাল মিয়ার ছোট ভাই সাবেক বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা ও গাজীপুর মহানগর কৃষকলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো: আবুল হোসেন উক্ত সভায় উপন্থিত ছিলেন।
আবুল হোসেন বলেন, প্রতিনিধি সভায় মহানগর আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক এডভোকেট মো:মনির হোসেন শোক প্রস্তাব পাঠ করেন। কিন্তু অনেকের নাম বললেও আমার ভাইেয়ের নাম বলেননি। গাজীপুর জেলার একমাত্র বীরউত্তমের নাম শোক প্রস্তাবে না বলায় তার ভাই হিসেবে এবং বাংলাদেশ কৃষকলীগের একজন কর্মী হিসেবে আমি এবং আমার পরিবার মর্মাহত হয়েছি। একই সাথে মর্মাহত হয়েছেন মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী গাজীপুরবাসীও।
এ ব্যাপারে গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক এডভোকেট মনির হোসেন বলেন, আজকের প্রতিনিধি সভায় প্রায় ৩০/৩৫ জন মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ঠ ব্যাক্তির নাম উল্লেখ করে শোক প্রস্তাব পাঠ করা হয়। কিন্তু আফজাল মিয়ার নাম বলা হয়নি।
উক্ত প্রতিনিধি সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জাহাঙ্গীর কবির নানক যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ,আব্দুর রহমান যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।-ব্যারিস্টার মহিদুল হাসান চৌধরী (নওফেল) এম.পি সাংগাঠনিক সম্পাদক ,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।শ্রী সুজিত রায় নন্দী ত্রান ও সমাজ কল্যান সম্পাদক,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ।আক্তারুজ্জামান সদস্য,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ।এ্যাড,মোঃ আজমত উল্লা খান সদস্য,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ।এ্যাড,নজিবুল্লাহ হিরু,সদস্য,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ।গোলাম রব্বানী চিনু সদস্য,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ।এ্যাড।এ,বি,এম রিয়াজুল কবির সদস্য,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ।
আনোয়ার হোসেন সদস্য,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ব্যারিস্টার বিল্পব বড়ুয়া উপ-দপ্তর সম্পাদক,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ।আমিনুল ইসলাম উপ-প্রচার সম্পাদক,বাংলাএশ আওয়ামী লীগ। মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এম.পি, সিমিন হোসেন রিমি এম.পি,সদস্য,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ।ইকবাল হোসেন অপু এম.পি,সদস্য,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ । মুহাম্মাদ ইকবাল হোসেন সবুজ ,এম.পি সাধারন সম্পাদক,গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগ,মেহের আফরোজ চুমকি এম.পি-বেগম শামসুন্নাহার ভূঁইয়া এম.পি রুমানা আলী টুসি এম.পি
সঞ্চালনায় ছিলেন- এ্যাড.মোঃজাহাঙ্গীর আলম সাধারন সম্পাদক,গাজীপুর মহানগর আওয়ামি লীগ ।