মোঃ নাসির,বিশেষ প্রতিনিধি– সেকালে ব্রিটিশ ভারতীয় উপমহাদেশে দানবীর হাজী মুহাম্মদ মহসীনের কথা ইতিহাস থেকে জানলেও একালের দানবীর পুলিশ মহাপরিদর্শক ড.বেনজির আহমেদ এর মানবিকতা প্রত্যক্ষ করছে দেশবাসী।
উইকিপিডিয়ার তথ্য মতে,সেকালের দানবীর ইরানী বংশোদ্ভূত হাজী মুহাম্মদ মহসীন ১৭৬৯-৭০ সালের সরকারি দলিল অনুযায়ী তৎকালীন দুর্ভিক্ষের সময় ব্রিটিশ ভারতে তিনি অনেক লঙ্গরখানা স্থাপন করেন এবং সরকারি তহবিলে অর্থ সহায়তা প্রদান করেন।
১৮০৬ সালে তিনি মহসিন ফান্ড নামক তহবিল প্রতিষ্ঠা করে তাতে দুইজন মোতাওয়াল্লি নিয়োগ করেন।
ব্যয়নির্বাহের জন্য সম্পত্তিকে নয়ভাগে ভাগ করা হয়। এর মধ্যে তিনটি ভাগ ধর্মীয় কর্মকাণ্ড, চারটি ভাগ পেনশন, বৃত্তি ও দাতব্য কর্মকাণ্ড এবং দুইটি ভাগ মোতাওয়াল্লিদের পারিশ্রমিকের জন্য বরাদ্দ করা হয়।
আর একালের দাবনীবর ড.বেনজির আহমেদ বৈশ্বিক মহামারি প্রাণঘাতী কোভিড-১৯ প্রার্দুভাবের শুরু থেকে নিজের পেশাগত দায়িত্বে পাশপাশি তাঁর মানবিকতা তাকে এক অনন্য উচ্চতায় অধিষ্ঠিত করেছে।
পুলিশ প্রধান বেনজির সামাজিকভাবে,আনুনাষ্ঠিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থদের পরিবারগুলোর প্রতি যেমন তার উদারতা উৎস্বর্গ করে দিচ্ছেন অন্যদিকে গোপনেও তিনি তার মানবিতার ধারা অব্যাহত রেখেছেন।
করোনা ভাইরাসের কারণে যে অচল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে তাতে বেশ কিছু বিশেষ করে অপরাধ বিষয়ক প্রতিবেদক যারা নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন না বা কর্মহীন রয়েছেন এমন সংবাদকর্মীদের পুলিশ প্রধান ড. বেনজির আহমেদ গোপনে ঈদ উপহারের নামে গোপনে সহায়তা করে যাচ্ছেন। কিন্তু সংবাদকর্মীরা পুলিশ প্রধানের গোপন কান্ড ফাশ করে দিচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তাকে অভিহিত করা হচ্ছে,মানবিকতার আইকন’। তাঁর প্রতি জানানো হচ্ছে ভীষণ রকমের কৃতজ্ঞতা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি অনলাইন পত্রিকার রাজনৈতিক প্রতিবেদক বলেন, সত্যি পুলিশ প্রধান ড. বেনজির আহমেদ এর এই গোপন উদ্যোগ গোপন রাখতে পারছেন না কেউ।
তিনি আরো বলেন,আমার মনে হয় গোপন রাখা সম্ভবও না। তার এ ধরণের কর্মকান্ড পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি তথা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।
ইতিমধ্যে পুলিশ প্রধানের এমন কার্যক্রমের কারণে বেনজির আহমেদকে অনেকেই তার এ প্রসঙ্গে হাজী মুহাম্মদ মহীসনের তুলনা করছেন।
তিনি বলেন,একজন নাগরিক হিসেবে তো অবশ্যই আশা করি যেন পুলিশ দ্বারা যেন কোনো মানুষ যেন হয়রানি না হয়। কিন্তু একজন সংবাদকর্মী হিসেবে আশা করি অন্তত ড.বেনজির আহমেদ যতদিন পুলিশ প্রধান থাকবেন ততদিন যেন বাংলাদেশের কোনো সংবাদ কর্মী পুলিশ সদস্য দ্বারা হয়রানির শিকার না হতে হয়।
এদিকে একাধিক সংবাদ কর্মীরা জানিয়েছেন, আমরা প্রত্যেক পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ড. বেনজির আহমেদের মানবিকতা,আদর্শ,শিষ্ঠাচার,মহানুভবতা দেখতে চাই।