জি নিউজ ডেস্কঃ দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ফের সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড.কামাল হোসেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে ‘গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত’ নিতে বিকেল ৩টায় জরুরি বৈঠক করে ৫টায় ঐক্যফ্রন্টের অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সিদ্ধান্ত জানাবেন তিনি।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সংবাদ সম্মেলনে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতারা উপস্থিত থাকবেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দফতরের দায়িত্বে থাকা তাতী দলের সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু।
সূত্রে জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে থাকা ও না থাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে এবং নির্বাচনে থাকলে কৌশল কী কী হবে- এসব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বৈঠকে।
বৈঠকে বিএনপি, ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।
এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈঠকে বসেছিল ঐক্যফ্রন্ট। তবে ওই বৈঠকে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি নেতৃবৃন্দ।
মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনে বৈঠকে বসেছিলেন ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। সেখানে সিইসির সঙ্গে ড. কামালের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের এক পর্যায়ে নির্বাচন বর্জনের হুঁমকি দেন তারা।
পরে এক সংবাদ সম্মেলনে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সভার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন সিইসিকে উদ্দেশ্য করে বলেন- সিইসি বর্তমানে প্রধান বিচারপতির চেয়েও শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারেন। আপনি ইচ্ছা করলে ‘জানোয়ার লাঠিয়াল পুলিশ বাহিনী’কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। আপনার এই ‘লাঠিয়াল’ পুলিশ বাহিনী আমাদের মিটিং-মিছিল কিছুই করতে দিচ্ছে না। এমনকি বেলা ২টার পর মাইক ব্যবহারের জন্য আমাদের নির্দেশনা দিয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ ও তাদের জোটের লোকজন নিয়ম-কানুন না মেনে পুলিশের সহায়তায় প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ ও আওয়ামী লীগের গুণ্ডা বাহিনী আমাদের ওপর হামলা করছে।’
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো বলেন, ‘আমাদের প্রার্থীদের জীবনের দাম না থাকলেও কর্মীদের জীবনের দাম রয়েছে। তাদের তো রক্ষা করতে হবে।’
এসময় সিইসি ক্ষুব্ধ হয়ে ড. কামাল হোসেনকে বলে ওঠেন, ‘আপনি এমন কী হয়েছেন- যে পুলিশকে ‘লাঠিয়াল, জানোয়ার’ বলছেন। নিজেকে কী মনে করেন?’
তখন মঈন খান সিইসিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘নির্বাচনের কোনো পরিবেশ যদি সৃষ্টি করতে না পারেন, তাহলে বলে দেন, আমরা আজকেই প্রেসক্লাবে গিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জনের বিষয়ে ঘোষণা দেবো।’ এরপরই সভা থেকে বেরিয়ে যান ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।
পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ করতে জরুরি বৈঠক ডাকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বৃহস্পতিবার এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা রয়েছে।
সূত্রঃ বাংলাদেশ জার্নাল।