ছেলের বিরুদ্ধে নির্যাতনের মামলা করে,নিরাপত্তাহীনতায় অসহায় ১ বাবা

0
19

ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করে,নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন অসহায় ১ বাবা

স্টাফ রিপোর্টার:গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কেওয়া চন্নাগাড়া গ্রামে এঘটনা ঘটেছে ।
পিতা কালু মিয়া জানান,আমার ছেলে সোহাগ আমাকে মারধর করেছে দুইবার।শুধু তাই নয় সে আমাকে প্রায় সময় অযথা গালাগালি ও বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে আসছে পরে আমি সোহাগের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করি,মামলা করার পর থেকে সোহাগ বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে আমাকে হুমকি দিচ্ছে,এলাকাছাড়া করবে এমনকি ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হবে। তার লাশও নাকি কেউ খুজে পাবেনা।আমি এখন আমার জীবনের নিরাপত্তাহিনতায় ভুগছি।
কালু মিয়া (৬১), বাগেরহাট মোড়লগঞ্জ জিওধারা গ্রামের মৃত আঃ ছাত্তার হাওলাদারের ছেলে।বর্তমানে সে উপজেলার কেওয়া চন্নাপাড়া গ্রামের আলহাজ্ব আসাদুজ্জামান ওমেদ আলীর বাড়ির ভাড়াটিয়া। তিনি ভাড়াবাসা থেকে আলহাজ্ব আসাদুজ্জামান ওমেদ আলীর বাড়ির কেয়ারট্যাকারের, দায়িত্ব পালন করে আসছে দীর্ঘদিন যাবত ।অভিযুক্ত ছেলে সোহাগ মিয়া একই মালিক ওমেদ আলীর অন্য আরেকটি বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় সুপারভাইজার পদে চাকুরী করেন।
মামলা সূত্রে জানাযায়, কালু মিয়ার বাগেরহাটে বাড়িভিটাসহ ৫ শতাংশ জমি সোহাগের নামে লিখিয়া দেওয়ার জন্য,দীর্ঘদিন যাবৎ চাপ প্রয়োগ করিতেছে এবং সোহাগ মিয়া কালু মিয়াকে বিভিন্ন ধরনের হুমকীসহ একাধিকবার তাহাকে মারপিট করে। কালু মিয়া বাড়িভিটাসহ জমি সোহাগের নামে লিখিয়া না দেওয়ার কারণে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করিয়া কালু মিয়ার কাপড় চোপড় ঘরের বাহিরে ফেলে দেয়, একপর্যায়ে সোহাগ কালু মিয়াকে মারপিট করিয়া উক্ত ভাড়া বাসা হইতে বের করে দেয়। পরবর্তীতে কালু তাহার পূর্বের বাড়ির মালিকের অন্য এক বাসা ভাড়া নিয়া নিজে রান্নাবান্না করিয়া খুব কষ্টে দিনাতিপাত করিয়া আসিতেছে। উল্লেখিত কর্মকান্ডের ধারাবাহিকতায় ১ম ঘটনার দিন অর্থাৎ বিগত ০৫/০৯/২০২৩ ইং তারিখ,রোজ মঙ্গলবার,রাত আনুমানিক ৮ ঘটিকায় সোহাগ কালুর ভাড়া বাসায় অনধিকার প্রবেশ করিয়া ,গ্রামের বাড়ির বাড়িভিটাসহ ৫ শতাংশ জমি লিখে দেওয়ার জন্য বলিলে সে বলে আমি অসুস্থ্য মানুষ এতটুকু জমি এবং বাড়িভিটা আমি কাহারো নামে লিখে দিব না, আমার মৃত্যুর পর সকলে ফরায়েজ মতে পাইবে। এই কথা বলার সাথে সাথেই সোহাগ কালুকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে এবং কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সোহাগ কালুকে এলোপাথারীভাবে কিল, ঘুষি, লাথি মারিয়া প্রাণনাশের হুমকী প্রদান করে, ইহা ছাড়াও কালুর ঘরের ভিতরে বিছানার নিচে রাখা বিশ হাজার টাকা চুরি করিয়া নিয়া যায় এবং বাদীর ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র ভাঙ্গিয়া আনুমানিক ৮ হাজার টাকার ক্ষতি করে। শেষ ঘটনার দিন ও সময়ে অর্থাৎ বিগত ২৯/১০/২০২৩ ইং তারিখ, রোজ রবিবার, সন্ধ্যা আনুমানিক ৮ ঘটিকায় কালু তাহার নাতী অর্থাৎ সোহাগের ছেলে আবদুল্লার জন্য খেলনা রিকশা কিনে তাহার নাতীকে দেওয়ার জন্য সোহাগের বাসায় গেলে উক্ত গাড়ি দিয়ে আসার সময় সোহাগ কালুকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করিলে তাহার সহিত তর্কাতর্কির একপর্যায়ে বাঁশের লাঠি দিয়া কালুর মাথায় দুই হাতে আঘাত করাকালীন কালুর ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন চলিয়া আসিলে,কালু প্রাণে রক্ষা পায় এবং উপস্থিত লোকজনের সম্মুখে সোহাগ কালুকে হুমকী দেয় যে,তুই যদি তোর বাড়িসহ ৫ শতাংশ জমি আমার নামে লিখে না দিস তাহলে আমি তোকে খুন করিয়া লাশ গুম করিব।কালু স্থানীয়ভাবে সোহাগকে প্রতিহত করিতে না পারিয়া সোহাগের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ছেলে সোহাগ মিয়ার সাথে কথা বলতে চাইলে,তিনি কোনো কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

আপনার মতামত প্রকাশ করেন

আপনার মন্তব্য দিন
আপনার নাম এন্ট্রি করুন