ঝিকরগাছায় ১৩বছর ভূয়া নিবন্ধনে শিক্ষক পদে বহাল তবিয়তে কবির হোসেন!

0
1

ঝিকরগাছায় ১৩বছর ভূয়া নিবন্ধনে শিক্ষক পদে বহাল তবিয়তে কবির হোসেন!

শাহাবুদ্দিন মোড়ল , ঝিকরগাছা : যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী ইউনিয়নের বোধখানা মহিলা দাখিল মাদ্রাসার জুনিয়ার মৌলভি শিক্ষক কবির হোসেনের নামে ভূয়া নিবন্ধনের সনদধারী জাল/জালিয়াতির আশ্রয়ে চাকরী নিয়ে ১৩বছর যাবৎ বহাল তবিয়তে চাকরী করে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুয়া সার্টিফিকেটে অবৈধ ভাবে চাকরী নেওয়ার পর বেতন করার জন্য ভুয়া সার্টিফিকেটকে পরবর্তীতে শুদ্ধ করা হয়েছে বলে ভুক্তভোগীর দাবী। কিন্তু যে ভুয়া সার্টিফিকেটে প্রথমে চাকরী হয়েছে আদেও কি সেই ভুয়া সার্টিফিকেটের চাকরী তার হবে এটা নিয়ে জনমতের মনে প্রশ্ন উদিতমান।
সূত্রে জানা যায়, জুনিয়ার মৌলভি শিক্ষক পদে কবির হোসেন ৩০/০৩/২০১১ইং তারিখে মাদ্রাসাতে যোগদান করেন। তারপর মাদ্রাসার সুপার (ভারপ্রাপ্ত) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) এ ২০২১ সালের ০১ ডিসেম্বর আবেদন দাখিল করেন। যার সূত্র ধরে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যায়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) এর দ্বারা বিগত ২০২১ সালের ১৩ ডিসেম্বর ৩৭.০৫.০০০০.০১০.০৫.০০২.২০.৭৪৬নং স্মারকে শিক্ষক নিবন্ধন যাচাইয়ের বিষয়ে মাদ্রাসার জুনিয়ার মৌলভি শিক্ষক কবির হোসেনের শিক্ষকের সনদধারী জাল/জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন মর্মে দালিলিকভাবে প্রমাণিত হলেও জাল ও ভূয়া সনদধারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে থানায় মামলা দায়ের পূর্বক অত্র অফিসকে অবহতি করার জন্য সুপার (ভারপ্রাপ্ত)কে নির্দেশনা দেওয়া হলেও অদ্যবধি কোন ব্যবস্থা নেয়নি প্রতিষ্ঠানটি। তবে ২০২১সালের প্রতিষ্ঠানের সাবেক সভাপতি কবিরের বেতন ভাতা বন্ধ করে দেন বলে শোনা যায়। বর্তমানে কবির হোসেনে ভূয়া নিবন্ধনের সনদধারী জাল/জালিয়াতির আশ্রয়ে নিয়ে দীর্ঘ ১৩বছর যাবৎ বিশাল তবিয়তে চাকরী করে যাচ্ছে। জাল/জালিয়াতি করে ১৩বছর যাবৎ সরকারি অর্থ হাতিয়ে নেওয়া এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও সরকারের কোষাগারে জাল/জালিয়াতির অর্থ ফেরৎ নিতে প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।
মাদ্রাসার জুনিয়ার মৌলভি শিক্ষক কবির হোসেন বলেন, আমি ১৩বছর যাবৎ চাকরী করছি। আমার সার্টিফিকেট গুলো সব সঠিক আছে। আমি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার স্যারের নিকট সব দিয়ে আসছি।
মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মোঃ জহুরুল হক বলেন, রাজনৈতিক চাপ সব তো বোঝেন।
মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি সাইফুর রহমান সাইফ বলেন, ঘটনার বিষয়ে এনটিআরসিএ আমাকে আবগতী করলেই আমি তার ডিসেম্বরের বেতন ভাতা বন্ধ করে দিয়েছিলাম এবং ভারপ্রাপ্ত সুপারকে বলেছিলাম ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। তারপর পরিকল্পিত ভাবে নির্দিষ্ট মেয়াদের পূর্বে আমাকে কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
মাদ্রাসার সভাপতি ও আর.এম রিসালাহ মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক এস.এম মশকুর আলম বলেন, তার বিষয়ে আমার কোনো মতামত নেই। তার বিষয়ে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর বোঝবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কামরুজ্জামান মোঃ জাহাঙ্গীর হোসাইন মিয়া বলেন, এমন ঘটনার বিষয়ে আমার জানা ছিল না। আমি তাদেরকে ডেকে ছিলাম। ভারপ্রাপ্ত সুপার ও জুনিয়ার মৌলভি শিক্ষক এসেছিলো। কবির আমার কাছে স্বিকার করেছে তার নিয়োগটা হয়েছে ওই সার্টিফিকেটে। পরে তার বর্তমানের সার্টিফিকেট দেখানোর পরে তার বেতন হয়েছে। তার বিষয়ে আমি আমার অথরিটিকে জানাবো তার এই ভাবে চাকরী হয়েছে। আমার অথরিটি আমাকে যে ভাবে বলবে সেই ভাবেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে তিনি তার অফিসে সংবাদকর্মীদেরকে বলেন যদি ভুয়া সার্টিফিকেটে চাকরী হয় তাহলে সে এখন অবৈধ হবে।

কোন মন্তব্য নেই