ঝিনাইগাতীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক-৪, শিক্ষার্থী-৩!

0
18

ঝিনাইগাতীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক-৪, শিক্ষার্থী-৩!

মোঃজিয়াউল হক, শেরপুর প্রতিনিধি : অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, খাতা কলমে ১শত ৭০শিক্ষার্থী। বাস্তবে ১ম ও ২য় শ্রেণিতে স্বল্প সংখ্যক শিক্ষার্থী থাকলেও ৩য়-৫ম শ্রেণিতে ৩শিক্ষার্থী পাওয়া যায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তবে শিক্ষার্থী ৩জন থাকলেও ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষক রয়েছেন ৪জন। ঘটনাটি ঘটেছে, শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার হাতিবান্দা ইউনিয়নের হাতিবান্ধা হদিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

জানা গেছে, ১৯৯৪ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত করে স্থানীয়রা। ২০১৩ সালে বিদ্যালয়টি সরকারীকরণ করা হয়। তখন থেকেই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন ইয়াসিন আলী। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রথম থেকেই এ বিদ্যালয়ে তেমন কোন শিক্ষার্থীদের অবস্থান দেখা যায়নি।

শিক্ষকরা বলতে গেলে বসে বসেই মাস শেষে বেতনভাতা উত্তোলন করে আসছেন। এসব অভিযোগ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই। ২১ নভেম্বর সোমবার দুপুর ১২ টা ৫০মিনিট এ বিদ্যালয়ে সরেজমিনে অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা গেছে অত্র বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণিতে উপস্থিত মাত্র ৩জন শিক্ষার্থী। তৃতীয় ও পঞ্চম শ্রেণিতে কোন শিক্ষার্থী নেই। এসময় সাংবাদিকদের উপস্থিতি দেখে শিক্ষকরা এদিক সেদিক ছোটাছুটি করে শিক্ষার্থী সংগ্রহে। তবে প্রধান শিক্ষক ইয়াসিন আলী বলেন, ১ম ও ২য় শ্রেণি ছুটি হওয়াতে দুপুর সাড়ে ১২টায় তৃতীয়, ৪র্থ ও পঞ্চম শ্রেণির ক্লাশ হওয়ার কথা। তবে অন্যদিনের তুলনায় আজকে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কিছুটা কম হয়েছে। উপস্থিত চতুর্থ শ্রেনীর শিক্ষার্থী মিম জানায়, নিয়মিত তার ক্লাশে ৫থেকে ৬জন শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ঘটে। প্রধান শিক্ষক ইয়াসিন আলী আরো বলেন, “বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী না থাকায় আমি নিজে অন্যত্র বদলীর আবেদন করেছি”।

এলাকাবাসীর অভিযোগ শিক্ষক ইয়াসিন আলী বদলি হয়ে তার দীর্ঘদিনের দোষ থেকে মুক্ত হতে চাইছে। বিদ্যালয়ে এ অবস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত করে ঝিনাইগাতী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) নুরুন নবী জানান, বিদ্যালয়টির অবস্থা খুবই নাজুক। এ কারনে প্রধান শিক্ষক ইয়াসিন আলী বদলি আবেদন করেছেন।
এলাকাবাসী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের আহবান জানিয়েছেন।

কোন মন্তব্য নেই