ডেস্ক নিউজঃ ঘটনাটা ঘটেছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কালিচরণ পুর ইউনিয়নের বালিয়া ডাঙ্গা গ্রামের মোসলেম উদ্দীন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। জানা যায় গত ১ লা মে ২০১৮ তারিখে মাগুরা জেলার পাল্লায় অবস্থি মেসার্স উত্তরা স্পুল সেন্টার নামে একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ৬৬৮৪৩০২ টাকায় বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের কাজ পায়। তারপর ঝিনাইদহে খোকা নামে এক ঠিকাদারের নিকট চড়া দামে বিক্রয় করে দেয়। কিছু দিন আগে খোকা বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করে। শুরুতেই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি বালু নিন্ম মানের হওয়ায় ঠিকাদারের সাথে কথা বললে কাজ ঠিক মত হবে বলে তাকে আশ্বাস দেয়। মঙ্গলবার সকালে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীগন দেখতে পায় যে আগের দিন লিন্টন ঢালাই দেওয়া হয়েছে তবে ভিতরে রড নেই। তখন তারা গ্রামবাসীকে খবর দেয়। গ্রামবাসী এসে ঠিকাদারের কাজ বন্ধ করে দেয়।
এই প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বললে সে জানায় যে আমি লিন্টন ঢালাইয়ে রোড না দেওয়ায় সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী হুমায়ন কবির কে জানিয়েছি। তবে প্রায় ৫ ঘণ্টা হয়ে গেল শিক্ষা প্রকৌশল অফিস থেকে কোন লোক এখানে আসে নি। আমারা যদি না দেখতাম তাহলে দুদিন পরে স্কুল চাপা পড়ে আমাদের জীবন যেত। আমি এই ঠিকাদারের শাস্তি দাবী করছি।
স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি বিল্পব হোসেন বলে যে আমি অবাক হয়ে গেছি । ঘটনা জানতে পেরে অফিস কে জানিয়েছি এবং নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। শুধু এই কাজ নয় মনে হয় আগেও যে কাজ করেছে সেখানেও এমন ভাবে করেছে। সেক্ষেত্রে পুরা কাজ ভেঙ্গে তদন্ত করে আবার করতে হবে।
এই প্রসঙ্গে উপস্থিত ঠিকাদার খোকা বলে যে হেড মিস্ত্রি ভুল করে করেছে। আমি আজ এসে দেখতে পেয়ে গোলমাল হচ্ছে।আমি এই ভাবে কাজ করতে বলিনি,এখন জনগনের প্রশ্ন হেড মিস্ত্রী যদি এমন ভুল করে তবে কেমন মিস্ত্রী দিয়ে এত বড় একটি কাজ করানো হচ্ছে সেই মিস্ত্রীর মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে, এখন কাজ সঠিক ভাবে হবে বলে দ্রুত কাজের স্থান ত্যাগ করে। সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী হুমায়ন কবিরের নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। তখন ঝিনাইদহ শিক্ষা প্রকৌশল অফিসের সহকারী প্রকৌশলী রাসেল মিয়া সাথে মোবাইলে জানতে চাইলে বলে যে আমি বিষয়টা জানার সাথে সাথে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। কাজ করার সময় তাদের অফিসের লোক থাকতে হবে এই কথা জিজ্ঞাসা করলে বলে যে বিভিন্ন জাইগায় আমাদের কাজ থাকায় জন স্বল্পতার কারনে সকল সময় কাজের পাশে থাকা সম্ভব না বলে সে জানায়।