শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ টলমলে নীল জলরাশি পাহাড়ের কোলে ঘুমিয়ে সাদা মেঘের দল। সারি সারি গাছ জলের বুকে পবিত্রতা আর স্নিগ্ধতার জানান দেয়। সূর্য একরাশ হাসি নিয়ে জেগে উঠে। কল্পনা নয়, সত্যি এ যেন স্বর্গের হাতছানি। এ চিত্র কোন বিদেশের নয় এদেশেরই একটি স্থান যার নাম টাঙ্গুয়ার হাওর।গাজীপুরের ঐতিহ্যবাহী পর্যটন সংঘঠন শ্রীপুর ট্যুরিজম বাইকার্সের টাঙ্গুয়া হাওরে সফল অভিযান সম্পূর্ণ হয়েছে। এই পর্যটক সংঘঠনটি শুধু ভ্রমন নয় বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ড যেমন, বন্যার্তদের সাহায্য, রোহিঙ্গাদের ত্রানবিতরন,সেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী ইত্যাদির মধ্যদিয়ে ইতিমধ্যে বেশ সুনাম অর্জন করেছে।মোটর বাইক যোগে ভ্রমন সম্পূন করেছে বাংলাদেশের ৪৬ জেলা। জয় করেছে কেওক্রাডং, তাজিংডংসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্বতশৃঙ্গ। এবারে টাঙ্গুয়া হাওর যাত্রায় ২৭টি বাইক ও ৫৩ জন পর্যটক নিয়ে (১৯ অক্টোবর) ভোরে শ্রীপুর থেকে রওনাদিয়ে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনার কলমাকান্দা হয়ে সুনামগঞ্জের টেকেরঘাট, নিলাদ্রী, বারিক্কাটিলা, শিমুলবাগান সহ বিভিন্ন পর্যটনস্পট ঘুরে তাহিরপুর পৌচ্ছায়।রাতে নৌকায় বাউল গান, ফানুস উৎসব ও নৌকায় রাত্রিযাপন শেষে (২০ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গুয়ার হাওর অভিযান শেষ করে। বিকাল ৩টায় তাহিরপুর থেকে রওনাদিয়ে সুনামগঞ্জ, সিলেট, হয়ে রাত ২টায় সুস্থভাবে শ্রীপুরে পৌচ্ছায়।ট্যুরিজমে সভাপতি খন্দকার মাসুদ রানা ও সাধারন সাম্পাদক আরিফ মন্ডলের নেত্রীত্বে ভ্রমনে অংশগ্রহনকারী পর্যটকরা হলো, আমান উল্লাহ, আফসার আহমেদ, সাইফুল ইসলাম টার্চ, আলমগীর শেখ, আসাদুজ্জামান বিপু, নজরুল ইসলাম, রুহুল আমিন, সেলিম শেখ, আজিজুল হক, মাহমুদুল হাসান, কামরুল হাসান, মামুন জীম, জাহাঙ্গীর আলম, সোহেল রানা, নাজমুল ইসলাম,শামীম আহমেদ আপন, হাবিবুর রহমান, সোহাগ, এমদাদুল হক, দিদারুল ইসলাম, মমিন হোসেন, আমিনুল ইসলাম, মোমেন, জুনায়েদ, পাভেল, জহিরুল হক, মানিক হোসেন, আবু তৈয়ব, আফসার উদ্দিন, মুহান্মদ আলম, পলাশ মন্ডল, সাইফুল ইসলাম শাকিল, মুস্তাফিজুর, গোলাম রাব্বী, তুরাগ হোসেন, মাহামুদুল হাসান, নাজমুল হাসান, বাপ্পী, নাঈম মিয়া, ফরহাদ হোসেন, মাসুম আহমেদ,শরিফুল ইসলাম, শেখ রাসেল, শফিক আহমেদ, ইমরান হোসেন, বাউল সবুজ সরকারপ্রমুখ। ট্যুরিজম সভাপতি খন্দকার মাসুদ রানা জানান, অামি একজন পর্যটক,ছোটবেলা থেকেই ভ্রমন আমার নেশা।ট্যুরিজমের সদস্য ও অন্যান্য পর্যটকদের নিয়ে বিভিন্ন সময় দেশ এবং দেশের বাহিরে এ্যাডভেঞ্চার ভ্রমন আমার ভালো লাগে।আট বছর ধরে আমরা গ্রুপকরে সফলতার সাথে বাইকে ভ্রমন করে আসছি।
