এমএইছ চৌধুরী, জুনাইদ। শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি :: হবিগঞ্জের মাধবপুরের অনাহারি, বিধবা জহুরা বেগমের ফোন পেয়ে একঘন্টার মধ্যে কাঙ্খিত বস্তা ভর্তি খাদ্যসামগ্রীর পৌঁছে দিলেন হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল হাসান।
শনিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে মাধবপুর উপজেলার উত্তর সুরমা গ্রামের ভুমিহীন, বিধবা, জহুরা বেগমের ফোন পেয়ে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক এ খাদ্যসামগ্রীর পৌঁছে দিলেন।
জানা যায়, বিধবা, জহুরা বেগমের ১০ সদস্যের সংসার। করোনাকালে তার ছেলেরা কর্মহীন, হয়ে পড়ায় উনুনে আগুন জ্বলেনা তার। খাদ্যসামগ্রী শুন্য ঘরে দু’দিন ধরে অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটছিল তার। নিরুউপায় হয়ে অবশেষে গতকাল সন্ধ্যার দিকে দ্বিধা, সংশয় অতিক্রম করে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল হাসানের মোবাইলে ফোন করেন বিধবা জহুরা। জেলা প্রশাসক ফোনকল ধরলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ের জহুরা বেগম। কান্নাজড়িত, আবেগাপ্লুত কন্ঠে জহুরা জানালেন তার হৃদয়ের আকুতি। পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে থাকার বিষয়টি অকপটে ব্যক্ত করেন তিনি। এর পরই জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসনুভা নাসতারাণ দ্রুত মোটর সাইকেলযোগে জহুরার পরিবারকে চাল, ডাল, আলু, তেল ইত্যাদি পৌঁছে দেন।
এ ব্যাপারে মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসনুভা নাসতারাণ জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশ পেয়ে উপজেলার উত্তর সুরমা গ্রামে বিধবা জহুরা বেগমের ঘরে একঘন্টার মধ্যে খাদ্যসামগ্রীর পৌঁছে দিয়েছেন। জেলা প্রশাসক কর্তৃক প্রদত্ত খাদ্যসামগ্রী পেয়ে জহুরার দু’চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়ে আনন্দাশ্রু। জহুরা বেগমে অশ্রুসজল নয়নে বলেন, এ কয়দিন আর খাবারের চিন্তা করতে হবে না, ছোট নাতি নাতনিগুলো আপাতত খাবারের জন্য আর কাঁদবে না। করোনার কারনে সংসারের রোজগারি সদস্যরা কর্মহীন হয়ে পড়ায় বিত্তহীন বিধবা জহুরার অনাগত দিন নিয়ে দুশ্চিন্তার অন্ত ছিলনা। জেলা প্রশাসকের খাদ্য সামগ্রী পেয়েই চুলোয় আগুন জ্বলে জহুরার। জেলা প্রশাসকের এ মহানুভবতা কোনদিন ভুলবেনা জহুরা।