ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৬৭ নং ওয়ার্ডে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সমর্থিত লাটিম প্রতীকে নবনির্বাচিত কাউন্সিলর হাজী মোঃ ইবরাহীম খলীলের উপর অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল ২রা জানুয়ারী রবিবার সন্ধ্যায় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাহিনী কাউন্সিলর কার্যালয় ঢুকে এই হামলা চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে হাজী ইবরাহীমের প্রতিদ্বন্দ্বী ফিরোজ আলমের ক্যাডার বাহিনী জামাই সোহাগের নেতৃত্বে ৬৭ নং কাউন্সিলর কার্যালয়ে হামলা করে ব্যাপক ভাংচুর করা হয়। এসময় তারা অস্ত্র প্রদর্শন করে উপস্থিত সকলকে ভয়ভীতি দেখায়।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৬৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাজী ইবরাহীম বিজয়ের ১দিন না পেরোতেই হামলার শিকার হলেন। এর আগে নির্বাচন চলাকালীন এবং নির্বাচনের দিনও ব্যাপক হামলার শিকার হয় লাটিম প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা এই বিজয়ী প্রার্থী।
২ইং ফেব্রুয়ারি রোজ রবিবার রাত ৮:৩০ এর দিকে জামাই সোহাগ ও পরাজিত ঠেলাগাড়ি মার্কার প্রার্থী ফিরোজ আলম এর প্রায় দেড় শতাধিক দেশীয় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাহীনির নেতৃত্বে ৬৭নং ওয়ার্ডের আমতলায় অবস্থিত কাউন্সিলর কার্যালয়ে ডেমরা থানার ফাঁড়ি ইনচার্জ এএসআই কুদ্দুস সাহেবের সম্মুখে হামলা ও ব্যাপক ভাংচুর করে। হামলার সময় কাউন্সিলরের অফিসে থাকা লোকজন কাউন্সিলর ইবরাহীমকে হামলা থেকে বাঁচাতে ঝাপটে ধরে তার কর্মীরা।
হামলায় ইবরাহীমের কর্মীদের মাথা ফাটাসহ বেশকয়েকজন আহত হয়ে চিকিৎসা নিতে ঢাকা মেডিকেল যায়।এছাড়াও কাউন্সিলরের নিজ বাড়ি ও কর্মীদের বাড়িতেও হামলা ও ভাংচুর করে সন্ত্রাসীরা।
হামলার ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ওয়ার্ড। ওয়ার্ডবাসী জড় হয় কাউন্সিলর ইবরাহীমের কার্যালয়ের সামনে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে দফায় দফায় ডেমরা থানা থেকে প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত হয় এবং পুরো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে তারা।
ঘটনায় পুরো ওয়ার্ডজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজমান করছে।সন্ত্রাসী বাহিনীর এই কর্মকান্ডে নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন জনতা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডেমরা থানার ওসি তদন্ত নূরে আলম বলেন ‘আমরা পুরো ঘটনাটি শুনেছি এবং আমাদের তদন্ত চলমান’।
তিনি উপস্থিত বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্তনা দিয়ে বলেন ‘আপনারা কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না। আমরা ঘটনার সুষ্ঠ বিচারের পক্ষে কাজ করছি।