কে, এম, আজগর হোসেন ছাব্বির: দাকোপ,খুলনা থেকেঃ দাকোপে পূর্ব বিরোধের শালিসী সভায় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ। স্বামী স্ত্রী সন্তানসহ একই পরিবারের ৫ জন রক্তাত্ব জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ঘটনার রেশ না কাটতে ২ দিনের ব্যবধানে দ্বিতীয় দফা হামলা। এ ঘটনায় ৭ জনের নাম উল্লেখ করে দাকোপ থানায় এজাহার দাখিল করা হয়েছে।
দাখিলকৃত এজাহার এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিতিদের সুত্রে জানা যায়, জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দাকোপের লক্ষিখোলা গ্রামের নুর মোহাম্মদ শেখের পরিবারের সাথে তাদের নিকট আত্মীয় একই এলাকার মুনসুর সরদার গংদের দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে দু’পক্ষের মাঝে বিভিন্ন সময় ছোট খাটো ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকে। বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে ঘটনার দিন গত ১৩ মে বিকালে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য রফিকুল শেখের বাড়ীতে এক শালিসী সভা অনুষ্ঠিত হয়। জানা যায় শালিস বৈঠক চলাকালে দু’পক্ষের মাঝে কথা কাটাকাটি থেকে সংঘর্ষে রুপ নেয়। এ সময় মুনসুর সরদার গংরা দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষদের ব্যাপক মারপিট করে রক্তাত্ব জখম করে। এ ঘটনায় নুর মোহাম্মদ, তার পুত্র নাহিদ শেখ, স্ত্রী খাদিজা বেগম, ভাই নুর আলম শেখ, বোন রানিমা বেগম গুরুত্বর আহত হয়। স্থানীয়রা তাদেরকে উর্দ্ধার করে হাসপাতালে আনার পথে ফের হামলা করে তাদের বহনকারী ইজি বাইক ভাংচুর করা হয়। এলাকাবাসীর সহযোগীতায় তারা হাসপাতালে ভর্তি হয়। আহতদের মধ্যে নুর মোহাম্মদ এবং তার পুত্র নাহিদের শরীরে একাধিক সেলাইয়ের চিহ্ন দেখা যায়। হামলার সময় নুর মোহাম্মদের বোন রানিমা বেগমের ৩৯ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। এ ঘটনায় নুর মোহাম্মদ শেখ বাদী হয়ে হামলায় অংশ নেওয়া মুনসুর সরদার, রহিদ শেখ, তারিকুল শেখ, রহিম শেখ, আরিফ শেখ, নাসিম সরদার ও মিন্টু সরদার সর্ব সাং লক্ষিখোলাকে আসামি করে দাকোপ থানায় এজাহার দাখিল করেছে। এ দিকে ঘটনার ২ দিনের ব্যবধানে শনিবার সকালে মুনসুর গংরা নুর মোহাম্মদের স্বজন সালাম গাজী, সাদেকুল গাজী এবং কারিমা বেগমের উপর শনিবার সকালে ফের হামলা করে আহত করে। তারা হাসপাতালে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে বলে জানা গেছে। তবে উপর্যপুরী এই হামলার ঘটনায় প্রভাবশালী একটি পক্ষ মামলার পরিবর্তে ফের মিমাংসার চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে। তবে বাদী পক্ষ আইনের মাধ্যমে ন্যায় বিচারের দাবীতে অনড় আছে বলে দাবী করেছে।