জি নিউজ ডেস্কঃ শেরপুরে শ্রীবরদী থানা পুলিশের দুই সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই)-কে মারধরের অভিযোগে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়াউল হক জেনারেলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার রাতে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির সাথে থাকবস্থায় তাকে আটক করা হয়।
হামলার শিকার পুলিশ দু’জন হলেন- আব্দুল হান্নান ও মো. রফিকুল ইসলাম। রোববার রাতে শ্রীবরদী শহরের চৌরাস্তা মোড়ে এই দুই পুলিশ সদস্যকে মারধর করা হয়। এ ঘটনার পর শহরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। শহরের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রতিদিন শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে ১০-১৫ জন বখাটে যুবক নানা ধরনের নেশা করত। এ নিয়ে চিকিৎসকরা থানায় অভিযোগ দেয়। রোববার বিকেলে ওসির নির্দেশে শ্রীবরদী থানা পুলিশের দুই এএসআই আব্দুল হান্নান ও মো. রফিকুল ইসলাম হাসপাতালের ভেতর থেকে কয়েকজনকে ডেকে নিয়ে আসে। পরে ওসি রহুল আমিন জিজ্ঞাসাবাদ করে ভবিষ্যতে হাসপাতালের ভেতর না যাওয়ার জন্য তাদের নির্দেশ দিয়ে ছেড়ে দেন।
স্থানীয়রা জানান, ওই যুবকরা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এবং ধরার সময় তাদের চড়-থাপ্পড় দেয় পুলিশ সদস্যরা। এ ঘটনার জের ধরে রাত সাড়ে ৭টার দিকে পুলিশের এএসআই আব্দুল হান্নান ও মো. রফিকুল ইসলাম শ্রীবরদী বাজারের চৌরাস্তা মোড়ে ডিউটি করতে গেলে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় তাদের মারধর করা হয় এবং মোবাইল ছিনিয়ে নেয়া হয়। হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তার দাঁত ভেঙে যায়।
পুলিশের এএসআই আব্দুল হান্নান ও মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ছাত্রলীগ নেতা জিয়াউল হক জেনারেল ও শাকিলের নেত্বত্বে আমাদের ওপর হামলা হয়েছে। অল্পের জন্য আমরা প্রাণে বেঁচে গেছি।
এ ব্যাপারে শ্রীবরদী উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. মেরাজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বেশ কয়েকজন যুবকের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি ও বাগবিতণ্ডা হয়েছে। তাদের কেউ চিনে না। এরা ছাত্রলীগের কেউ না। রাতে আমি ও ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হেঁটে যাচ্ছিলাম। এ সময় পুলিশ এসে জেনারেলকে ধরে নিয়ে যায়। পুলিশ তাকে লাঞ্ছিত করেছে।
এ বিষয়ে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীবরদী-নালিতাবাড়ী সার্কেল) মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পুলিশ সদস্যদের মারধরের অভিযোগে জেনারেল নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের ধরতে অভিযান চলছে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।সূত্রঃ সময়ের কন্ঠসর।