ঢাকা, রবিবার, ৩১ জানুয়ারি-২০২১ : জাতীয় পার্টি মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেছেন, দেশের সুশাসন এখন যাদুঘরে আর গণতন্ত্র কফিনে বন্দি। নির্বাচন কমিশনের ব্যার্থতায় দেশের মানুষ ভোটাধিকার হারিয়েছে। পঙ্গু ও বিকালঙ্গ নির্বাচন কমিশন পদে পদে ব্যার্থতার স্বাক্ষর রাখছে। প্রতিটি নির্বাচনে কুরুক্ষেত্র তৈরী হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছে। তিনি বলেন, সরকারের সন্ত্রাসী বাহিনী নির্বাচনের পরিবেশ ভুলণ্ঠিত করেছে, যেমনটা করেছিলো বিএনপির সন্ত্রাসীরা। দেশের মানুষ আজ শান্তিতে ঘুমাতে পারছেনা।
আজ দুপুরে জাতীয় পার্টি মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু-এর নেতৃত্বে জাতীয় যুব সংহতির নব-গঠিত আহবায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ রংপুরের পল্লী নিবাসে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ-এর মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় মাজারে ফাতেহা পাঠ করে তারা পল্লীবন্ধুর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন। এ উপলক্ষ্যে পল্লী নিবাস চত্বরে এক বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন জাতীয় পার্টি মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বর্তমান সরকার। তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য লাগামহীন ভাবে বেড়েই চলেছে। দেশের ৪২ শতাংশ মানুষ দারিদ্র তার ওপর করোনাকালে আরো দেড় কোটি মানুষ কাজ হারিয়েছে। তাই দেশের মানুষের জীবন যাপন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। এসময় জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু আরো বলেন, দেশের মানুষ পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ-এর স্বর্নযুগ ফিরে পেতে চায়। তারা একবুক আশা নিয়ে জাতীয় পার্টির দিকে তাকিয়ে আছে। কারন, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দেশে উন্নয়ন ও সুশাসন এক সাথে নিশ্চিত করতে সমর্থ হয়েছিলেন। পল্লীবন্ধু মানুষের ভাগ্য পরির্বতনের রাজনীতি করতেন। জাতীয় পার্টির শাসনামলে যমুনা ব্রীজ, কর্নফুলী ব্রীজসহ অসংখ্য ব্রীজ ও পাকা সড়ক নির্মাণ করেছেন। মহাখালী ফ্লাইওভারের কাজ পল্লীবন্ধুর শাসনামলেই শুরু হয়েছিলো। শত বছরের ইংরেজদের উপনিবেশিক ব্যবস্থা ভেঙে উপজেলা পরিষদ নির্মান করে মানুষের মৌলিক অধিকার দোড়গোড়ায় পৌছে দিতে সক্ষম হয়েছিলেন। এলজিইডি প্রতিষ্ঠা করে দেশের উন্নয়নে অসাধারণ উন্নয়ন নিশ্চিত করেছিলেন। তিনি বলেন, এরশাদের শাসনামলে দেশের মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পেরেছেন। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী, দখলবাজী, টেন্ডারবাজী ছিলোনা জাতীয় পার্টির শাসনামলে। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টিতে এখন আর কোন বিভেদ নেই, সারাদেশে জাতীয় পার্টি এখন দারুণভাবে সংগঠিত। আগামী দিনে গোলাম মোহাম্মদ কাদের-এর নেতৃত্বে পল্লীবন্ধুর স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়তে জাতীয় পার্টি দুর্বার বেগে এগিয়ে যাচ্ছে।
জাতীয় যুবসংহতির আহ্বায়ক হুসেইন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ-এর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আহাদ ইউ শাহীন-এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর সিটি কর্পোরেশন মেয়র মোস্তফিজার রহমান মোস্তফা, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব এডভোকেট মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান আহসান আদেলুর রহমান এমপি, এস.এম. ইয়াসির, যুব সংহতির যুগ্ম আহ্বায়কÑ তারেক এ আদেল, হেলাল উদ্দিন, এডভোকেট জুলফিকার হোসেন, মোঃ হেলাল উদ্দিন, জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, যুব সংহতির যুগ্ম আহ্বায়ক- মিজানুর রহমান, ফজলুল হক ফজলু, সাইফুল ইসলাম, আফজাল হোসেন হারুন, শেখ মোঃ সরোয়ার হোসেন, দ্বীন ইসলাম শেখ, রাজা হোসেন রাজা, মুশফিকুর রহমান, এমদাদুল হক রুমন, আলতাফ হোসেন, ওয়ার্সিউর রহমান দোলন। যুবসংহতি রংপুর জেলা সভাপতি নাজিম আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, যুবসংহতি মহানগর সভাপতি মোঃ জাকির, সাধারণ সম্পাদক শান্তি কাদেরী।
বার্তা প্রেরক-
খন্দকার দেলোয়ার জালালী
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান-এর
প্রেস সেক্রেটারি-০২।