দেড় বছর বন্ধ থাকার পর পূর্নরায় চালু হয়েছে সাতাখামাইর রেলস্টেশন

0
926

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার সাতখামাইর রেল স্টেশনটি প্রায় দেড় বছর পর পূর্নরায় চালু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। শুক্রবার ৩ জানুয়ারী রেলস্টেশনটি পূর্নরায় চালু হলে প্রাণ ফিরে পায় এবং বাড়তে থাকে যাত্রীদের আনাগোনা।

রেলওয়ে সংশ্লিষ্ট ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ব্রিটিশ আমলে নির্মিত ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথে শ্রীপুর রেল স্টেশন থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে সাতখামাইর বাজার সংলগ্ন স্থানে সাতখামাইর রেল স্টেশন চালু করা হয়।জনবল সংকটের কারণ দেখিয়ে ২০১৮ সালের ৭ জুলাই সাতখামাইর রেল স্টেশন মাস্টারকে একই উপজেলার রাজেন্দ্রপুরে বদলি করা হলে রেল স্টেশনটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ফলে দুর্ভোগে পড়েছিল সাতখামাইর থেকে ঢাকা ও ময়মনসিংহ ট্রেনে যাতায়াত করা যাত্রীরা। পরবর্তীতে রেল স্টেশনটি চালু করতে স্থানিয় যাত্রী ও এলাকাবাসী মিলে মানববন্ধন সহ বিভিন্ন আন্দোলন করে আসছিল।

সাতাখামাইর রেল স্টেশনে যোগদান করা স্টেশন মাষ্টার মো: হানিফ আলী জানান, এই রেল স্টেশনটিতে প্রতিদিন আপ-ডাউনে বলাকা এক্সপ্রেস ও ময়মনসিংহ থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে ডাউনে ভাওয়াল এক্সপ্রেস যাত্রাবিরতি করে। এই রেল স্টেশনটি জনবল সংকটের কারনে বন্ধ ছিল। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার ও রেল মন্ত্রনালয় বন্ধ হওয়া স্টেশনগুলো চালু করা উদ্যােগ নিছে। তার ধারাবাহিকতায় সাতাখামাইর রেলওয়ে স্টেশনটি চালু হয়েছে। স্টেশনটি পরিচালনা করার জন্য তিনজন স্টেশন মাস্টার থাকার নিয়ম থাকলেও এখানে বর্তমানে দুজন স্টেশন মাস্টার দেওয়া হয়েছে। আমাদের ৮ ঘন্টা করে অতিরিক্ত ডিউটি করতে হচ্ছে। এ ছাড়াও বর্তমানে এখানে দুজন পয়েন্টসম্যান, দুজন গেইটম্যান, একজন পোটারম্যান এই স্টেশনে কর্মরত আছেন।

স্টেশন সংলগ্ন স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম জানান, এই রেল স্টেশনটির কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার পরথেকে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। স্টেশনে লোক না আসায় আমাদের বেচা-কেনা কমে গিয়েছিল। আজিমপুর বাজারের ব্যবসায়ীরা অনেক কষ্টকরে পরিবার পরিজন নিয়ে কোন মতে বেঁচে আছে।

বরমী ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ড সদস্য নাজমুল আকন্দ রনি জানান, এই রেলস্টেশনটি দিন-রাতের অধিকাংশ সময় যাত্রীদের পদচারণায় মুখরিত ছিলো। স্টেশনটি বন্ধ হওয়ার পর রাতের অন্ধকারে এখানে মাদক সেবীদের আনাগোনা থাকতো। ঐতিহ্যবাহী এই স্টেশনটি পূর্নরায় চালু হওয়ায় শ্রীপুর ও গাজীপুরে লেখাপড়া করা ছাত্র-ছাত্রী ও স্থানিয় জনগনের অনেক সুবিধা হবে। আমরা ইতিমধ্যে এলাকার মুরুব্বীদের নিয়ে নতুন স্টেশন মাষ্টারের সাথে কথা বলেছি। এখানে স্বেচ্ছাশ্রমে রেলস্টেশন পরিস্কার পরিছন্নতা ও যাত্রিদের সচেতনতায় একটি টিম কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আপনার মতামত প্রকাশ করেন

আপনার মন্তব্য দিন
আপনার নাম এন্ট্রি করুন