নদীগর্ভে দাকোপে ৬ পরিবারের ভিটেবাড়ী

0
39

কে,এম,আজগর হোসেন ছাব্বির: দাকোপ, খুলনা থেকেঃ
দাকোপ সদরে নদীভাঙনের কবলে ৬ পরিবারের ভিটেবাড়ী নদীগর্ভে। একই পোল্ডারের পৃথক ১০/১২টি স্থানে ভয়াবহ নদী ভাঙ্গন আর ফাটল দেখা দেওয়ায় আতঙ্কে জনসাধারন ঘরবাড়ী অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে।
গতকাল ৩০ অক্টোবর বুধবার ভোরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩১নং পোল্ডারের দাকোপ উপজেলা পরিষদ থেকে মাত্র ৪/৫ শ’ গজ নদী ভাঙনে ঘরবাড়ী বিলীন হয়েছে। চালনা মেরীন প্রোডাক্টস লিঃ এর সামনে পাউবোর বেড়িবাঁধের উপর বসবাসরত নাছিমা বেগমের বসত ঘর ও চায়ের দোকান, কবির শেখের ইটবালির গোলা, জিয়া শেখের বসতঘর ও চায়ের দোকান, রফিকুল ইসলামের ইটবালি সিমেন্টের গোলা, নুরুল ইসলামে স’মিল এবং ইবাদুলের চা’য়ের দোকান চুনকুড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এ ঘটনায় প্রতিবেশী পরিবারগুলো ভাঙন আতঙ্কে তাদের বসতঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নিতে দেখা গেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলো কোন সহায়তা পায়নি বলে জানা যায়। এলাকাবাসীর সাথে কথা বললে তারা জানায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩১ নং পোল্ডারের বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ নদী ভাঙ্গন ও ফাঁটল দেখা দিয়েছে। ঝুঁকিপূণস্থানে পাউবো ভাঙনরোধে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে ওই সব এলাকায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ঝুকির্পর্ণ এলাকা যেমন খোনা, বটবুনিয়াবাজার, কামিনী বাসিয়া, ঝালবুনিয়া, গড়খালী, মৌখালী, হোগলাবুনিয়া, খলিশা ও পানখালী। এসব এলাকার ২ শতাধিক পরিবার আতঙ্কে ঘরবাড়ি মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। বুধবার সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ ব্যানার্জী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে স্থানীয়দের আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, নদী ভাঙ্গন কবলিত ঝুকিপূর্ণ এলাকায় ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলনের কারণে এমন অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। এ দিকে দাকোপ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবুল হোসেন ওই নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শনকালে জানায় ৩১ নং পোল্ডারের যে সব স্থানে নদী ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে বর্তমানে সে গুলো ভয়াবহ ঝুকিপূর্ণ।এ সব স্থানে পাউবোর দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ দরকার। তিনি এ ব্যাপারে তড়িৎ ব্যবস্থা নিতে পাউবোর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবেন বলে জানান।

কোন মন্তব্য নেই