এমএইছ চৌধুরী, জুনাইদ। শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি :: হবিগঞ্জ জেলাব্যাপী লকডাউন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারির পরও জেলার বাহির থেকে নবীগঞ্জে মানুষ আসছে দলেদলে। রাতের আঁধারে খোলা ট্রাক, পিকআপে করে ঢাকার উপদ্রুত এলাকা কেরাণীগঞ্জ, নাঃগঞ্জ ও গাজীপুর থেকেই বেশি আসছে। তারা এলাকায় এসে অবাধে চলাফেরা করায় বাড়ছে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি।
জানা গেছে, নবীগঞ্জের বড়ভাকৈর(পূর্ব-পশ্চিম), জগন্নাথপুর, চৌকি, ফতেহপুর, ফার্ম বাজার, কাজির বাজার, পানিউমদা, মেকাম বাজার, ইমামবাড়ি ইউনিয়নের খইরা, রমজানপুর, করগাঁও ইউনিয়নের দূর্গাপুর, শেরপুর ও সদর ইউনিয়নের গুজাখাইর, বেতাপুর এসব গ্রামের কর্মঠ দরিদ্র মানুষেরা ঢাকা, কেরাণীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। করোনাভাইরাস সংক্রমনের আশঙ্কায় এখন তারা কর্মহীন এবং এলাকাগুলোতে চলছে লকডাউন।
এ ব্যাপারে গুজাখাইর গ্রামের মনসুর আহমেদ জানান, গত কয়েকদিনে শতশত মানুষ বানিয়াচঙ্গে এসেছে। তার নিজ গ্রামেই অন্তত ২০ জন এসেছে। তিনি আরও জানান, বাহির থেকে এসে তারা এলাকায় অবাধে ঘুরাফেরা করছে। প্রশাসনের লোকজন আসার সংবাদে তারা ঘরে ঢুকে যায়, আবার চলে গেলে যেই সেই।
এই বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আজিজুর রহমান বলেন, ওয়ার্ড ইউনিয়ন পর্যায়ে এ সংক্রান্ত কমিটি রয়েছে, তারাই বিষয়টি তদারকি করার করছেন। কিন্তু কমিটির সদস্যরা ঠিকমতো কাজ করছেন না। এতবড় উপজেলা অল্প সংখ্যক পুলিশ দিয়ে সামলানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয়গুলো পুলিশ দেখবে।
নবীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার পাল জানান, প্রতিটি এলাকা কমিটির মাধ্যমে বাহির থেকে আসা লোকজনকে ১৪ থেকে ২০ দিন হোমকোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে মৃত্যুও হতে পারে। এক্ষেত্রে সকলকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।