এমএইছ চৌধুরী, জুনাইদ। শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) থেকে :: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় মামলার প্রেক্ষিতে রাতভর অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামী চেয়ারম্যানের সহযোগি খালেদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার এড়াতে ইউপি চেয়ারম্যান মহিবুর রহমান হারুন আত্মগোপনে রয়েছেন।গ্রেফতারকৃত খালেদ একই উপজেলার মিনাজপুর গ্রামের আব্দুল মালিকের পুত্র ও চেয়ারম্যানের মালিকানাধীন অরবিট হাসপাতালের ম্যানেজার।
বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে নির্যাতিত সাংবাদিক দৈনিক আমার সংবাদের নবীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি মুজিবুর রহমান, আউশকান্দি ইউপির চেয়ারম্যান মহিবুর রহমান হারুনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন । মামলার পর থেকেই নবীগঞ্জ থানার ওসি (অপারেশন) আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ চেয়ারম্যানের বাড়িতে এবং তার নিজ গ্রাম মিনাজপুরে অভিযান পরিচালনা করে। পুলিশ আসার খবর পেয়ে চেয়ারম্যান হারুন বাড়ির পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। তবে তার সহযোগি খালেদকে গ্রেফতার করা হয়।
নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিজুর রহমান খালেদ গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটক খালেদকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার করতে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করছে। তিনি বলেন মামলার পর থেকেই চেয়ারম্যান হারুন পলাতক রয়েছে।
নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিশ্বজিত কুমার পাল জানান, ইউপি চেয়ারম্যান ফৌজদারী ধারায় অপরাধ করেছে। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে ইতিমধ্যে ১ জনকে আটক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য সম্প্রতি করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ঘরবন্দি মানুষের মাঝে চাল বিতরনের সময় ব্যাপক অনিময় করে ইউপি চেয়ারম্যান হারুন । সরকারি ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের সংবাদ ও ফেইসবুকে লাইভ প্রচার করেন দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদের নবীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি শাহ সুলতান আহমেদ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যান হারুনসহ তার লোকজন ১ এপ্রিল বিকেলে আউশকান্দিতে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে আহত করে সুলতান ও তার দুই সহযোগী সাংবাদিককে।