জি নিউজ ডেস্কঃ নারায়ণগঞ্জে দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কোরবানির পশু ওজনে বেচাকেনা,
৩৩০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে কোরবানির গরু!
– নারায়ণগঞ্জে দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কোরবানির পশু ওজনে বেচাকেনা। এতে ক্রেতাদের হাটে যাওয়ার ঝক্কিঝামেলা পোহাতে হচ্ছে না। তারা সহজেই খামার থেকে গরু কিনতে পারছেন। ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকেও ওজনে পশু বেচাকেনায় কোনো বিধিনিষেধ নেই বলে জানিয়েছেন আলেমরা।
নগরীর চাষাঢ়া এলাকার বাসিন্দা আফজাল হোসেন পন্টি বলেন, ‘তিন বছর আগে হাট থেকে গরু নিয়ে কোরবানি দিয়েছিলাম। তিনটি গরুর মধ্যে একটি গরু ইনকেশন দেওয়া বা স্টেরয়েড খাওয়ানো ছিল। ঈদের এক সপ্তাহের মধ্যে ফ্রিজে রাখা সব মাংস পচে দুর্গন্ধ বের হয়ে যায়।
এর পর গত বছর থেকে দেশীয় ফার্মের অর্গানিক গরু কোরবানি দেওয়া শুরু করেছি। দেশি অ্যাগ্রো থেকে গত বছর দুটি গরু ওজনে কিনে নিয়ে কোরবানি দিয়েছি। মাংস খুবই ভালো হয়েছে। তাই এবারও একই ফার্ম থেকে কোরবানি দেওয়ার জন্য তিনটি গরু নিয়েছি।
ওজন স্কেলে গরু বেচাকেনা হওয়ায় সুবিধা আছে। আত্মীয়-স্বজন ও গরিব-দুঃখীদের মধ্যে বিলানোর জন্য যে পরিমাণ মাংস প্রয়োজন তা বুঝে গরু নিয়েছি। এতে ঝুঁকি কম । মাংস ভালো পড়বে এটাও নিশ্চয়তা রয়েছে। কারণ কোরবানির প্রথম শর্ত হচ্ছে সুস্থ-সবল পশু কোরবানি করা।’
গত বছর এই পদ্ধতিতে কয়েকটি খামার থেকে পশু কিনেছিলেন ক্রেতারা। জনপ্রিয়তা বাড়ায় এবার খামারের সংখ্যা বেড়েছে।
শহরের বন্দর-দোলপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় গেলে চোখে পড়বে এমন খামার। বিক্রেতারা বলছেন, হাটে গিয়ে পছন্দমতো গরু কিনতে থাকে নানা ধকল। দরদাম নিয়েও বাকবিতণ্ডায় জড়াতে হয়। তবে খামারে ওজনে পশু কেনাবেচায় সেই ঝামেলা নেই বলে দাবি খামারীদের।
৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ছোট ও মাঝারি সাইজের গরু। আর বড় গরু বেচাকেনা হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়। ক্রেতারা বলছেন, এতে বাজেট অনুয়ায়ী পছন্দমতো পশু কেনা সহজ হয়েছে। এই পদ্ধতিকে তাই সাধুবাদ জানিয়েছে অনেকে।
ইসলামী চিন্তাবিদরা বলছেন, ওজনে কোরবানির পশু কেনায় ধর্মীয়ভাবে কোনো বিধিনিষেধ নেই। তাই, যে কেউ চাইলেই এভাবে গরু কিনতে পারবেন।
ঝক্কিঝামেলা এড়াতে তাই অনেকেই যাচ্ছেন খামারগুলোতে। তবে ঈদ ঘনিয়ে আসলে চাপ বাড়বে বলে বিশ্বাস খামারীদের।